Friday, March 19, 2010
Friday, March 5, 2010
Araddho
আরাধ্য
---------
১।
বিধাতা,
পাপমোচনে আমি হব নরকের প্রেতাত্মা!
তবে মৃত্যুপূর্বে আরাধ্য একটাই,
আমার কোন এক ভাং ধরা দুপুরে
শুধু তার ক্ষয়ে যাওয়া লাল সিদুর
দেখতে চাই!
২।
তার চুল উড়ে যায় বলে,
সন্ধা নেমে আসে
আমার আলোক দ্বি-প্রহরে।
মগ্নতা আসে ভাবনায়,
শুদ্ধতা খুজে পায় বিবেক।
উন্মাদ হয়ে যাই,
আমি বদ্ধ উন্মাদ।
তখন আরাধ্য কবিতার আমি পূজা করি,
প্রনাম করি আমি অন্ধকারের শব্দমালার।
উড়ে যায়, উড়ে যায়,
তবুও তার চুল অবিরাম উড়ে যায়।
৩।
আজ আমাকে রক্তাক্ত কর,
আমাকে দ্বিখন্ডিত কর,
আমার রক্তে টিপ পড় কপালজুরে,
সিথিতে লাগাও সিদুর,
তবেই আমি শুদ্ধ হব
পরিতৃপ্তি পাব।
তারপর হৃদপিন্ডে যাও
একেও দ্বিখন্ডিত কর,
আবার এই দ্বিখন্ডিত হৃদপিন্ডে
দু-হাতে স্পর্শ কর,
কারও অস্তিত্ব টের পাবে।
-------এটাই হয়ত আমি নতুবা সে।
৪।
বেলা যায় বেলা আসে
এটাই-তো ধ্রুব সত্য,
অন্ধ হৃদয় তবুও মহাশয়
ভিখেরীর চোখে বিত্ত।
৫।
তুমি চাইলে,
অভিমানই হবে আমার রাত্রির পোষাক।
খুনসুটি, পিছু ছুটাছুটির বদলে
আমি চাইতেই পারি আপোষহীন দৃষ্টিপাত।
অন্তিম
======
Labels:
Ontim
Adho Alo Adho Ondhokar.
আধো আলো আধো অন্ধকার।
বখতিয়ার শামীম। ২৩-০২-২০১০
বৈকালি চাঁদ, নীবু নীবু প্রদীপে প্রহরের শেষ বেলা....
নিমন্ত্রন্য বসন্তের দমকা হাওয়া আমার পরশ মনে ছিল যত চাওয়া
এইআজ-দিন থেকে যাবেনা-তো বাদ....
এই আজ-দিন ছিল অমর বিকাশ, সময় পাইনি একটু করতে প্রকাশ
বসন্তের দোলালিত হাওয়ায় হাওয়া....
কোন কালের বরসাতে ভব-ঘুরের দরশাতে যাবেনা যা পাওয়া...
স্মৃতির উঠণে নাই ক্রান্তিকাল, কখনো পাইনি আমি ছাড়ানো সে পাল
এজীবন সমরোহে ছুটবেই দাওয়া আর কায়া
বিমুর ধ্বংসে যা যাবেনা নোয়া, অন্ধ আলোতে যা যাবেনা ছোঁয়া....
অবসন্ন ফাগুন, জ্বলে বসন্তে আগুন...
জ্বলে এই দিনশেষে শ্রমিকের পোয়া, নয়নে লাগিবে ধোঁয়া ভাসিবে জল
জীবনের সব কিছু হয়ে থাকে ঝড়া, নীবু নীবু করে পলমল
আমরা দুখিনী রথে চলি-সে একই সাথে জীবনের শেষ শুরু সম
চলি-সে একই তালে হারায়ে সকল মত
একই তার ভরসাতে পথো পারি দেওয়া.....
বৈকালি চাঁদ, অস্থায়ী দিন আর রাত,
আমার জীবন মাঝে নাই কোন নিন, নাই কোন সূচনার সাফল্যময় প্রান
শুধুই চাওয়া চায়ি, শুধুই পারা পারি, অবশেষে নাহি পাই ভালো কিছু দান...
আমরা এবসন্ত দিনে কোকিলের কাছে নেই সুর….
দোয়েলের কাছে নেই নতুন বাঁধা গান….
আমাদের সেই গানে করে আহ্বাণ, নতুনের ঝলোমলে নেচে ওঠে মান....
আমরা গভীর সমূদ্র হতে নেই বেহালা…
প্রসন্ন তুফান হতে নেই রঙ্গ-ধ্বনি, আগুনের কাছ হতে নেই তো নীরব
বৈকালি চাঁদ হতে পাই শীতলতা, এতেই সব হয় সরব...
আমরা বসন্ত বনের তরে বসে, এক আসনে তুলেছি ফুল
কোনবা হট্রগোলে ভেঙ্গেছে, ভেঙ্গে যায় সব নিরামিষ ভূল…
তেমনি সুযোগ বহে গড়েছি আসন, না ডিঙ্গে কারো জাতি কুল....
আমরা যাবনা নোয়া বৈকালি ধুসর চাঁদের আলোয়…
হবনা একই সাথে বর্ননাময় সূর্যের আলোহারা....
আমরা তিমির রাতে জ্বলেছি শিখা, আমাদের বদলায়েছি রং বদলায়েছি দুটি হাতের রেখা...
রঙ্গিন এ-ধরনী সদায় চলেছে সবো শেষে
সদায় ভেসেছে রঙ্গিন কিছু....
যাচ্ছে যাহাকিছু তব এঁকে এঁকে এক অনন্যতার দেশে.....
আমরা এবুকের পাজরে রেখে সব সুখদু:খ করেছি এই ধরার রচনা…
সেই যে হাজার বছর আগে করেগেছে যার সূঁচনা, আমরা এই বৈকালি দিনে, ধরে আছি আজও সেইসব …
ঘুরছে একই প্রতিক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রনে আছে এক রব।
বৈকালি চাঁদ, নীবু নীবু এ আমার স্বপ্নের আকাশ
ভূবণের যত ভালো কিছু , আজি এ বসন্তদিনে হয়-সে প্রকাশ এঁকে এঁকে
তেজহীন সূর্যের আলো এখনো যাইনি সোপাং...
Labels:
Bokhtiar
Backseat
ব্যাকসিটে...
গ্যালিলিও গলিতে বেতার আর শীতের বিকাল নিয়ে ফিনিক্সের দল খুব উড়ছিল
বিকালের দেয়ালে কিঊবিক বিন্যাস
এক একটা ফিনিক্সের
ছবিগুলো বিলকুল ডি-ফোকাসড
দেয়ালের সমস্ত ডট মায় রঙ
আনরিচেবল...
অনেকগুলো শব্দ ডাইরীর পাতায়
১। ল্যাপটপে সন্ধ্যা নামল
২। শাওয়ারের জলে ক্রিং ক্রিং
৩।আইহোলে একটি মাত্র কাঁটা আর চামচ
আসলে মিসেস সেন...উল্কাপাত...ঊল-কাঁটা
ফসিলের মেরুদন্ডে...ডানা মেলছে সোডিয়াম আলো...
ধাতব গন্ধ...চান্দেরী সুর .................
আবাদ...দোফসলী.জমি..টেরাকোটার সিঁড়িতে চু- কি-ত-কি-ত
ক্ষয়াটে চাঁদ মেঠো বিড়ালে চুপচাপ শুয়ে
ব্যাকসিটে
শীত শীত বিকালে আমি আর মিসেস সেন ভিজে যাচ্ছি ক্রমশঃ.........
Labels:
Soma
Awsanglagno
অসংলগ্ন
আপনি একশো টাকা ধার পেতে পারেন
ধারে একটি দেশলাই কাঠি কিছুতেই পাবেন না সময়মত......
হাতে ধরা সিগারেটের আয়ু এই ভাবে বেড়ে যায়
এই ভাবেই বেড়ে যায় আমাদের আয়ু.........
Labels:
Neel
Green Earth
এই যে এইমাত্র তৃণ লিখলাম
সাদা পাতায় একটি তৃণ হল
বিনয়মের মতো কোনো দুরূহ পাখি সামান্য তৃণ
আমি লিখলাম, সে, তারা, অনেকে
সবাই লিখতে লিখতে
পৃথিবীতে তৃণ ছেয়ে গেল
শ্যামল পৃথিবী
Labels:
Madhurima
Megh Trishna ... 3
অন্তরাত্মা, সে কোথায় থাকে?
মাথায়? হৃদয়ে? পেটে?
ব্যবচ্ছেদের ক্লান্ত আঙুলে
রক্ত মাংস শ্লেষ্মা মজ্জা ঘেঁটে
পাঁচমাথা মোড়ে প্রতি মুহূর্তে জটিলতা আছে জেনেই
গিয়েছি খুঁজেছি মেনেও নিয়েছি
সে নেই
গাড়ির চাকায় হাওয়ার পাখায়
আমার শহর যে দিকে তাকায়
আলো আঁধারের ঘর বাড়ি গম্বুজে
পাচ্ছি না তাকে খুঁজে
শুধু ছুটন্ত ব্রোঞ্জের ঘোড়া
বিস্মৃত এক নায়ককে নিয়ে ... আকাশের পটে স্থির
খোঁজ নেই স্বস্তির!
ঘোড়াটির সাথে ছুটব ... ছেটাব ...
তৃষ্ণা মেটাব স্বপ্নের পানপাত্রে
দশটা আঙুলে হাতড়ে
একদিন দেখো ঠিক পেয়ে যাব স্বস্তি।
শ্মশানের ছাই সরিয়ে কুড়োব
পিতামহদের অস্থি।
Labels:
Benoy
Tar Chokhe Premik-premika(1)
তার চোখে প্রেমিক-প্রেমিকা(১)
-------------------------------------
গ্রিলের ওপারে সন্ধ্যা নামার সংকেত
ঝিমধরা জীবাণুরা বসে আছে
প্রগতির গায়
জ্যামের মিথ ভেঙ্গে ছুটে এল
এল পি জি অটো
যুবরাজ নেমে আসে পরণে জিন্সের প্যান্ট
মুঠোফোন হাতে নিয়ে
স্মিত হেসে কুমারী দাঁড়ায়
কথা বলে ওরা গ্রামাফোনের স্বরে
অস্পষ্ট একটানা ভাষায়
Labels:
Suvo
Kobi O Kobita
মেঘ বালিকা কোনায় কোনায়
আকাশ মাঝে বাজের খেলায়
রাত শুরু গুরুগুরু।
ও বসন্ত ককিল
জীবন শুরু
বৈশাখী হাওয়ায়
বুকের মাঝে দুরুদুরু।
জলফোটা বিন্দু বিন্দু
বৃষ্টি ভেজা পাতার ওপর দিয়ে
শিরায় শিরায় রক্তোস্রোতে
উঠে আসে এক কবি ও কবিতা।।
Labels:
Turki
Ek Din
Ek Din samosto jodhdha bisonno hawar mantro sikhe jabe,
Ek Din samosto bridhdho dukhkho hin bolte parbe, jai.....
Ek Din samosto Dharmo artho pabe vinno rakomer,
Ek Din samosto shilpi kalponar protima banabe.
Ek Din samosto nari chokher ingite bolbe, eso.....
Ek Din samosto Dharmo Murti kere niye nishpap balok bolbe, ha ha........
EK Din ey sob habe boley ekhono surjo othe, brishti pare, abong kobita lekha hay.............................
Labels:
Tapas Paul
Agamee Falguner Sombhobonagulo
আগামী ফাল্গুনের সম্ভবনাগুলো
অঘ্রাণী জ্যোৎস্নার জিভে আমি কোনো রোহিণী দেখিনি
কথা ছিল ঠোঁট এঁকে দেবে আগামী ফাল্গুনে
হর্ষিত নাভি থেকে ঝরে যাবে
কুমকুম ও কোয়েল
গাঢ় হবে হর্ষচরিত
কথা ছিল
মনে পড়ে?
নদীজলে গড়া আধখানা বাসায় আমি কোনো প্রত্যয় দেখিনি
বিষণ্ণ ঘুমের পাঁজরে ঝিমঝিম কথা ছিল
ঘুমঘোর থেকে লাটিমের ঘুর ঘুর উড়ে যাবে
সুরমা ও সৈকত
ঘুমের ঊরুতে ঝিঁ ঝিঁও নামাবে রাত
কথা ছিল
মনে পড়ে?
মণিবন্ধে জমে ওঠা অভিমানী রেণুতে আমি কোনো পরাগ দেখিনি
কথা ছিল রোয়ানো রোদ্দুর থেকে জ্বেলে দেবে রোশনাই
রমিতার স্তনভারে উড়ে যাবে
রজঃ ও শিমুল
অঘ্রাণী নদীজলে সফল সঙ্গমে বেঁধে দেবে মণিবন্ধ
কথা ছিল
মনে পড়ে?
Labels:
Bondish
Nibisto Protijogi
নিবিষ্ট প্রতিযোগী
সামনে ছড়িয়ে দিগন্ত প্রসারী মাঠ
মাথার উপরে অনন্ত নীলাকাশ
পিছনে পড়ে স্বপ্নজড়ানো অতীত,
তবু, গুমোট হাওয়ায় সকলের ভারী নিঃশ্বাস...
বৃষ্টিকণায় সিক্ত নিমগ্ন প্রেম
হাতছানি দেওয়া ভরপুর আশ্বাস
বুকে ভালবাসার স্বপ্ন-বাসা,
তবু, সম্পর্কের কঠিন আবরণের নীচে নগ্নতার ত্রাস...
যে কোন পথে এগিয়ে চলায় লক্ষ্য
গ্ল্যামারের মোহে উত্তাল বাতাস
আখের গুছানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা,
আজ আমারও নিবিষ্ট হাতে প্রতিযোগিতার ক্যানভাস!
Labels:
Malancho
Megh Trishna ... 4
তখন পিতামহ এ ঘাটে নামছিল ...
বালিকা পিতামহী তার পাশে
গহিন গাংটির আড়ালে গ্রাম ছিল
নিবিড় বন ছিল চারপাশে
কুমির হার্মাদে নদীটা থিকথিক
ডাঙ্গায় দাঁতনখ বাঘ ছিল
লড়াই দিতে হত বাঁচতে ঠিক ঠিক
বুকে ও পিঠে তার দাগ ছিল
নৌকো ভরে যেত মধুতে কাঁকড়াতে
আবাদে ঢুকে যেত লবনজল
অযথা ভালবেসে দুহাতে আঁকড়াতে
দুবেলা ঝড় দিত বনাঞ্চল!
খাঁড়ির মুখে এসে কে যেন ডেকেছিল
দখিন রায় ... আয় মন দিবি
বন্য পিতামহ চিনত ... সে কে ছিল ...
আঁচল মেলেছিল বনবিবি
গাছের বল্লম ক্রমশ সব ভোঁতা
নদীর পথে গাঁথা পাথর ইট
জাহাজ ভিড় করে এল যে সভ্যতা
আমরা চিনি তাকে ... সে কংক্রিট
সে সব কাহিনিকে গিলেছে এ শহর
দিয়েছি সব দিন রাত তাকে
পূর্বপুরুষের স্মৃতির সে প্রহর
সঙ্গে নিয়ে গেছে আত্মাকে
Labels:
Benoy
Uposwargo...
উপসর্গ
পষ্ট চোখে নাকের নিচে
আবছা মত বিন্দুতে
দেখছি নিজের গোঁফের ঝালর
সকাল বিকেল মুখ ধুতে.........
আয়না বলে বাড়ছে তারা
দু এক খানা সর্বহারা,
এমনিতে রঙ খুব বেয়াড়া
ব্যাতিক্রমী ইন্দুতে
জ্যোত্স্না মেখে দিচ্ছে উঁকি
চন্দ্রবিন্দু দিন ছুঁতে !!
Labels:
Neel
Modhyo Bhogobaan
মধ্য ভগবান
আমার এ্যান্টাসিডের শিশি
দাঁতে সকালবেলার মিশি
বৌয়ের বাসি মুখের কিসি
নিয়ে মধ্যবিত্ত আমি।
হাতের বাবরি আমল ছাতায়,
বাবুর চিত্রগুপ্ত খাতায়,
ভুঁড়ি ইন্দ্রলুপ্ত মাথায়,
নিয়ে নিটোল গৃহস্বামী।
আবেগ নেয়না কোন ঝুঁকি
তোমায় ডিসকো প্রণাম ঠুকি,
তবু দেয়না কপাল উঁকি-
প্রভু, আধকপালী ছেড়ে!
মেশে রক্তে চিনির স্নেহ!
তবু পাঁঠা-মৃতই 'দেহ'
যতই বারুক মধুমেহ
ডোবা কব্জি তোলে কে রে?
বহর ছোট্ট লম্বদরো!
কাব্যে 'সখী আমায় ধরো'
ফিলিম মোগ্যাম্বো গব্বর-ও
আমার ডেইলি হাতিমতাই!
ঘরে বৌ-মায়ে কারগিল
আমি বিষণ্ণ চার্চিল
ইস্যু- তাল হয়ে যায় তিল
প্রভু, নষ্ট হয়ে যাই!
বাজার স্টোভ ফেটে আগুন
ফুরোয় পান্তা ফেরৎ নুন,
খবর চোর-ডাকাতি-খুন
আবার পি এন পি সি রোজ
পরেশ বাবুর বড় মেয়ে
নিচের ভোঁদার দিকে চেয়ে
বোধহয় মুচকি হেসেছে
তাতেই আমার মহা মৌজ।
পরের কথা গায়ে মাখি,
ফোড়ন , ফুট কাটাতে রাগি
আবার বিনিদ্র রাত জাগি
পাড়ায় কারুর বিপদ এলে!
আমার কোথায় আপন পর?
কবেই হারিয়ে গেছে ঘর।
ঘরের জায়গাতে বর্বর-
ইঁটের ছাত-দেয়ালই মেলে।
আমি বাসে ট্রামে চড়ি,
কনুই হিলের গুঁতোয় মরি
আজও স্বপ্নে দেখি পরী......
পাঁচির সঙ্গে খাটে শুয়ে!
তোমার বৈকুন্ঠের বাতি
আমার লোডশেডিং-এর সাথী
যতই হইনা আমি পাঁতি
ঝড়ে পড়ছি না তো নুয়ে!
তবু যা দিয়েছ তাই
দিয়ে তোমায় ডেকে যাই
চিনি, কদমা-বাতাসাই
তুমি নির্বিবাদে নাও।
যদি লক্ষ টাকা দিতে
তবে দিতাম বোধহয় ফ্রী-তে
রয়্যাল কমফোর্ট আর ঘি তে
ভাজা চপচপে পোলাও।
যারা হীরে মানিক ছড়ায়
তোমায় বুর্জোয়া পাঠ পড়ায়,
সোনা রূপোর মুকুট গড়ায়......
তাদের বাড়ুক তসিল-খান।
ধনে রাখো বা নাই রাখো,
মনে মধ্য কোরো না কো,
তুমি আমার মতই থাকো......
আমার মধ্য ভগবান!!!
Labels:
Osechonok
Bhosmer Por
শুভ হোক, দুয়ারে জ্বলুক দীপমালা অনির্বান।
এই নক্ষত্রালোক, ন্যুব্জ অশ্ব, এই আমার ভালো, আমি অমারাত হেঁটে চলে যাব।
বসন্ত! হাওয়া নিয়ে শেষবার কথা হয়েছিলো
আগুন উস্কে দেওয়া সান্ধ্য এ হাওয়া নিয়ে শেষবার কথা হয়েছিলো
অর্থহীন অবান্তর কথা সব, বকুলের গন্ধে নেশা, খুব বাতুলতা হয়েছিল
এখন উঠলে হাওয়া, ছাই ওড়ে প্রথামতো, ভস্মীভূত ফুল।
শল্কমোচন করো, দীপাধারে ছুঁড়ে দাও অবাক বকুল।
Labels:
Shobor
Rongeen Proshno
রঙিন প্রশ্ন
খাও ধূলোট কিছু নুড়ি আর বালি
প্রথাগত রাস্তা ছেড়ে দূর-
আর একটু স্বপ্নের তীর
আচ্ছা,ওখানে কি কোনো নদী আছে?
অথবা নদী নেই
পাখি আছে-হলুদ ?
নীল পাখির রঙ নীল
সবুজ হরিয়াল
সে পাখির রঙ কেমন?........
যা রক্তসমুদ্রে অবিরত দোল খায়?
Labels:
Arya
Hoyto Dag Kimba Joler Golpo
হয়ত দাগ কিংবা জলের গল্প
ঘুমদেয়ালী আবেশ উঠছে অবান্তরে। দেয়ালের ওইপাশে ছড়ানো ছেটানো খেলনাবাটি; মাটির পুতুল। ইচ্ছেমতন খেলছে কেমন উল্টে পাল্টে দুলছে এমন; ভেতরজলে মুখ দেখেনি। কেউ তো জানল না, জলের ভেতরও আবহমানের নিত্যতা।
থাক না নীরতত্ত্ব। নীড়ভাঙা ঘরে জাহাজডুবির গল্প তো নেই। অল্প হলেও গল্পগড়ানো চরকাবুড়ি পাখি নামাচ্ছে স্মৃতিজানলায়। গরাদের গায়ে পুরোনো জ্যোৎস্নার দাগ। দাগের ভেতর নিবিড় কিছু স্রোত।
অন্তরমহল হাতড়ে মুখ খুঁজে দেখি। কিছু স্রোত এখনও অবাঙ্মুখী। আমি তো ডুবুরি নই; অনিশ্চিত শ্যাওলার গা ঘেঁষে তুলে নেবো নির্বিকল্প ঝিনুক। আসলে নিশ্চিতও নই, খোলভাঙা শুক্তির গর্ভে কতখানি ঢেউ আর কতখানি দাগ।
Labels:
Runa
Canvas
ক্যানভাস
..........................................
আঁকড়ে ধরেছি নিবিড় বর্ণমালা
স্বপ্নে বর্ণে আঁকা হয়ে আছে ঢেউ ঢেউ প্রতিমারা
আঁকড়ে ধরেছি মীড়-গমক-ঝালা
তার ছিঁড়ে গেছে- আঙুলে তবুও বেজে চলে একতারা
কিছুই শিখিনি- রাগ ও বেহাগ
কখনো শিখিনি প্রেম। দুর্বাঘাসের শংকিত পথে
তবু সে পায়ের দাগ
আনাড়ি চোখের কারসাজিতেই মেখেছে তরঙ্গতে
যতটুকু ছিল মায়া-মরিচিকা
কুয়াশায় ঢাকা তুমি। অলখে কখন বেজেছে নুপূর
বিদগ্ধ মরুভূমি- ঢেকেছে অগ্নিশিখা
কিছুই বুঝিনি তবু ভেঙে গেছে আলগোছে ঝুরঝুর
ছায়া প্রহরের বিস্মৃত অক্ষরে
অনিবার ক্রোধ, বিক্ষুব্ধ বোধ- প্যাষ্টেলে আঁকা ছবি
পুড়েছে দারুণ ঘোরে
পুড়েছে স্বপ্ন তবু নিমগ্ন নিদাঘে দগ্ধ কবি-
আঁকড়ে ধরেছি হিম ছায়া- উল্লাসে
আঁকড়ে ধরেছি জীবনের সব বিমূর্ত হা-হুতাশ
তুলির আচরে শব্দের প্রতিভাসে
গহীন দোলায় স্থির ফুটে আছে চিরচেনা ক্যানভাস
Labels:
Mogno
Kromosho
ক্রমশঃই প্রকাশ্য হল তার শিশুসন্তান আছে
স্বামী হয়তো ট্যুরে বিমানবন্দরগামী
যে মেঘলা দুপুর পাঠিয়ে ছিলাম তাকে হয়তো
স্নেহবশতঃ সে বলতে পারেনি, পাঠিওনা আর ...
এসব অকিঞ্চিত্কর
এখনও অভ্যাসমতো টুকিটাকি বিনিময় করি
জন্মদিনের শুভেচ্ছা, কখনও তার কবিতায়
ঈষত্ দুষ্টুমি কিম্বা কোন দূরভাষালাপ হঠাত্...
কুয়াশা সরে গেলে পৃথিবী কি বিভ্রাটমুক্ত হয়
সঠিক পথে ছুটে যায় ট্রেন, সঠিক উড়ালে পাখিরা
পৃথিবীর সব রঙ হেসে ওঠে ... তাও
মেঘলা দুপুরগুলো একান্তে রাখি নিজের কাছে
নিজের ছায়াকে বলি, যা কিছু অযাচিত ব্যথা
তুমি নাও, তুমি নাও
Labels:
Shanto
Hariye Jaowa Astabole
হারিয়ে যাওয়া আস্তাবলে / শুভাশিস সরকার
মাঝে মাঝে ঘাঁড় ঘুরিয়ে যখন দেখি
ঠিক তখনই বিগতপ্রায় লেখালেখি
দুরের থেকে আদর মেখে আমায় বলে
চোখ রাখো তো ফেলে আসা আস্তাবলে।
আমি তাকাই, পুরোনো সব ঘোড়াগূলো
খুর ঠুকছে, পেছন থেকে আসছে ধুলো।-
এই লেখাটা আমার ছিল? ইশ, কি ছেঁদো!
এটাও আমার? আদ্দিকালের বদ্যিবুড়ো!
এটা কেমন শেষ হয় নি - !
এটা বোধহয় দোলের হবে;
এটা কারগিল।
এটা সেই বৌবাজারের বোমার সময়!
এটার গায়ে বাবরি মসজিদের গুড়ো।
এটা পুপুর জন্মের সময়।
এটা উফ!- পুপু ফেল করে আত্মহত্যা করল।
এটা ঈদের নামাজ শুরুর একটূ আগে।
এটাতে তো বড়দিনের কেকের গন্ধ!
এটা যখন আমরা সবাই একুশে হাটছি
নতুন একটা বাংলা ভাষায় কথা বলছি
এটা বাংলা? একটা হিন্দী ইংরেজী নেই!-
এই ভাষাতে এখন আর কেউ কথা বলিনা।
এটা খুকুর বিয়ের দিনে
এটা খুকুর বিবাহবিচ্ছেদে-।
এটা বোধনের দিনে,
এটা অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলির সময়
ফুল হাতে নিয়ে লিখেছিলাম।
এটা নবমীতে ম্যাডক্সে বসে
তিলোত্তমা বেছে নিতে নিতে।
বিসর্জনে যখন বললে
কোনদিন আর দ্যাখা হবে না -
তোমায় নিয়ে সেই লেখাটা পাচ্ছিনা তো
সেই লেখাটা, বলেছিলাম দু-হাত পাতো-
হাসি মুখে তুমি দু’হাত এগিয়ে দিতে
কান্না গুলে লিখেছিলাম মেহেন্দিতে।
ধুয়ে গেছে অসাবধানে ধোওয়ার সময়?
কিন্ত আজও সবাই শুলে, শোওয়ার সময়-
একবার ঠিক সেই লেখাটা আমায় বলে
চোখ রেখোনা, হারিয়ে যাওয়া আস্তাবলে।
Labels:
Subhasish
Shikshamulok
শিক্ষামূলক
শিক্ষামূল তত কিছু ছিল না ভ্রমণে।
বিনোদিনী, স্মৃতিভারে জর্জর বিনোদিনী মোর
খেলনা নতুন কিছু বাকি আছে হাতে?
দিয়েছিলি যা যা, ভাঙাচোরা, সবই তো পুরনো,
শূন্যঝুলি, আর তবে কাকে নিয়ে বাঁচা?
তথাপি শিক্ষার বহু বাকি আছে তোর।
দু'চারটে নুড়ি
আর শালের গন্ধ-মাখা লাল লাল ধুলো
যদি উড়ে আসে আজ,
বুড়ো-চোখ বন্ধ রাখা, খুব কি জরুরী?
ওতে অভিনয় আরো ভালো হয় বাছা,
কান্নার সিন বড় বাস্তব লাগে।
চুরি করা ভালোবাসা, চুরির সময়,
এই নিয়ে ধনী হবি তুই? হওয়া যায় কোনোদিন?
বিনোদিনী, তুই শুধু বিনোদিনী, অলক্ষ্মী অসতী
বহু শিক্ষা বাকি আছে তোর...
ভালো কথা বলি শোন,
থাক দূরে দূরে, অতীতকে ছুঁয়ে থাক শির-ওঠা বুড়োটে আঙুলে...
ঘর-বার অটুট অক্ষয় থাক সবাকার, সত্যে থাক মতি
Labels:
Obhimonyu
Halud Noksha
নিশানা লিখেও যে তান হারায়
তার পথে
অনন্ত সম্ভাবনা
সোনালী প্র-লেপে
চাদরের আদর বাড়ে
ফুল আসে হলুদ ছিটেয়
ক্যকটাসেও তো কতই অমন
ভিক্ষু হে না না টুপটাপ পেরিয়ে
একবার বৃক্ষু বলো
ও সব সোনা রঙ ধুয়ে নক্সা আঁকার বেলা
বৃষ্টি আসে পথ ভেঙ্গে
ফলত দেখা যায় -
তার ছদ্মনাম চিরকালীন নৃত্যময়
যার নেমপ্লেটে লেখা-
সখ- সন্তুরের উজানে
পেশা- হোলি খেলায় মেঘ ভাসানো
আনন্দ - পোশাকে কৌতুহলী চোখ আঁকায়
অবাক হই
ঠোঁট ভেজানোর আগে
নিমফলের সাক্ষরনামায় সে লিখলো - " ফতুর গালিচা "
Labels:
Tamsuk
Kaaktaaruyar Golpo
কাকতাড়ুয়ায়র গল্প
অনিমেষ... একটা মজার গপ্প বলি শোনো
কোনো অজপাড়াগাঁয়ে গিয়েছো কখনো?
দেখেছো ধানের ক্ষেত অথবা যে মাঠে
আদিগন্ত ভরে থাকে সবুজ ফসল?
দেখেছো না? জানতাম, যতটা মুখ্যু মনে হয়
ততটা আদপে তুমি নয়। সময় সময়
বোকা সেজে থাকো বটে, তবে সেটা ভাল।
ঝোপ বুঝে কোপ মারো, সকরুণ বাক্যসুধা ঢালো
জনগণ শুনে বলে, 'আহা! কি দুঃখ, কত শোক...'
বাস্তুঘুঘুটি তুমি, সাতিশয় খচ্চর লোক
গোঁফের আড়ালে হাসো শকুনের হাসি
হেঁড়ে গলা মিহি করে মাঝে মাঝে বলো, 'ভালবাসি...'
ভবী তাতে ভোলেও তো দেখি
আসলে যে সব জালিয়াতি, আদ্যোপান্ত মেকি
ভালমানুষীর চোখে ছুঁড়ে দেওয়া একরাশ ধুলো
সে কথা বোঝে না কেউ, মিথ্যে কথাগুলো
ক্রমশঃ সত্যি হয়ে ওঠে
অনিমেষ, ভাগ্যবান তুমি, ভালবাসা তোমারই কপালে দেখি জোটে
তথাপি এসব কথা বর্তমানে শিবের গাজন
গপ্পটা বলি শোনো, শোনো দিয়া মন
দেখিয়াছো ধানক্ষেত, আদিগন্ত সবুজ ফসল
কাকতাড়ুয়াও দেখিয়াছো নিশ্চয়
(মাঝে মাঝে সাধুভাষা বলা ভাল, চর্চাটা হয়)
এ গপ্প কাকতাড়ুয়ার
মানুষপ্রমাণ বাঁশের কাঠামো আর
এক মুঠো খড়, তার উপর একখানা ভাঙা কেলে হাঁড়ি
চুণ দিয়ে চোখমুখ আঁকা
তথাপি মানুষ ভেবে নেওয়া কিঞ্চিত বাড়াবাড়ি
অতএব গায়ে তার ছেঁড়া-ফাটা জামা, প্রকৃত বাতিল
কি অবাক কাণ্ড ভাবো দেখি, যাবতীয় কাক চিল
ওকেই মানুষ বলে ভাবে সুতরাং ভয় পায়
এইভাবে বপনঋতু যায়, গৃহস্থ উদ্বেল হয় নবান্নের ডাকে
আমাকে বলতে পারো অনিমেষ, কাকতাড়ুয়ার ছেঁড়া-ফাটা
বাতিল জামাতে, তখনো কী মানুষের গন্ধ লেগে থাকে?
Labels:
Sagarneel
Bibvromo Mostishker Chintadhara
আমাদের জীবন শুরু হয় আঁধারের বুক চিড়ে -বৈকুন্ঠ যখন কাঁপন ধরায় জাগ্রত নি:শ্বাসে। নেমে যাই শালিকের মত ধানের মাঠে। কুঁড়াতে থাকি দিনভর -বেঁচে থাকাটা খুব জরুরী। চোখ যখন ব্যস্ত ধানের খোঁজে তখন ভাববার অবকাশ কই -সময়ের কিংবা পৃথিবীর বিভ্রম মায়া।
০ চলমান রাশিমালায় মাঝেমাঝে মনেহয় আমি একটা প্রোগ্রাম মাত্র। নয়ত কেন স্মরণ করতে পারি না -গর্ভে কিংবা শূণ্য বয়সে কি ছিলাম, কেমন ছিলাম কিংবা তারো আগে কোথায় ছিলাম। কেউ একজন সযত্নে স্মৃতিগুলো মুছে দেয়। কিন্তু কেন?
০ ঘুনপোকা মস্তিস্কে ক্রমাগত খুঁড়ে চলে আত্ম সৃষ্টির ব্যর্থতা। আমাদের ভাবনা দিয়েছে, বুদ্ধি দিয়েছে, ব্যবহার মাত্র ২ ভাগ কিংবা তারচেয়ে একটু বেশী। কেন?
নিথর, অজ্ঞতার বাকীটুকুতে যদি প্রবেশ করতে না ই পারব তাহলে বহন করবই বা কেন?
০ আমি কিংবা আমাদের নৈপথ্যে হেসেই চলছে স্রষ্টা। খুব কাছে -একটা সময়ের মাত্রার আড়ালে। হয়ত কখনোই ছুঁতে পারবনা, দেখতে পাবনা। এক সময় আমাদের প্রতি স্রষ্টার আগ্রহ কমে যাবে, থেমে যাবে সৃষ্টি। Split করে ফেলে দেয়া হবে ব্যবহৃত মস্তিষ্কের অংশটুকু। নতুন সৃষ্টি আসবে -নতুন গঠন নিয়ে। তারাও ব্যবহারের সুযোগ পাবে মাত্র ২ভাগ কিংবা তারচেয়ে একটু বেশী।
Labels:
Onahotu
Dekhechilam
দেখেছিলাম / শুভাশিস সরকার
কবে তোমায় কোথায় দেখেছিলাম
সে কথা আর মনে তো নেই ভালো
তোমায় আমি ভুলেই গেছিলাম
কিন্ত হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকালো।
সে আলোতে মোম হয়ে যায় মন
মোম গড়ালে সম থেকে হয় শুরু?
ফাঁক থাকে কি ভুরুর নাচনে?
চিনতে? নাকি ভুল করেছে ভুরু?
ভুরুর ভাঁজে আটকে ছিল মেঘ
সিঁথির খাঁজে সিঁদুর জ্বলে ক্ষীন
যতই আজ অশনী গর্জাক
অস্তরাগে হারানো ক্যান্টিন।
Labels:
Subhasish
Jhumjhumanti Brishti Megh
বিনিদ্র সময়ের তুমি-আমি
স্বেচ্ছায় ফাগুণ আনি চোখের পলকে
গাঢ় গম্ভীরে আষাঢ় ঠেকলেই -
কাঁধে হাত জোৎস্নার বিনম্র পাটী।
আমাদের শুরু-
কোলাহলে ঠেলে দেয়া সতেজ শরীর
কম্পমান আবেগী হাত হিসেব খাতায়
আর কত কি!
আহ্লাদ, বাঁকা ঠোঁট, দীর্ঘ পল্লব, শরীরের ঘ্রাণ
গুটিয়ে যায় শামুকের ঘরে
উল্লাস-ব্যস্ততার ক্ষয়া ফোটনে।
হলুদ বিকেল-
নীড়ের মত ভাঁজ নিয়ে মাথা রাখ
উষ্ণতায়, যখন আঁধার নেমে আসে বার্ধক্যে
ফুটে ভোরের শৈশব -চায়ের কাপে।
সব থেমে যায়-
ক্লান্তি নেমে আসে নিউরণে, কোষে
আবার স্নান করি তুমি-আমি;
স্বেচ্ছায় ফাগুণ আনি চোখের পলকে
গাঢ় গম্ভীরে আষাঢ় ঠেকলেই -
কাঁধে হাত জোৎস্নার বিনম্র পাটী।
[কবিতা লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু রাজ্যের আলস্যতা সারাক্ষণ ভর করে থাকে শারীরিক প্রস্তাবনার ভাঁজে। আমার নিয়মিত কবিতা পোষ্টে আমাকে উৎসাহিত করে যার জন্য নতুন ভাবে বাঁচার আশায় উদ্দীপ্ত হওয়া। আমার স্ত্রী -আধার (চন্দ্রবিন্দুহীন করেছি ইচ্ছে করেই -ভিন্নার্থে)। আমার স্ত্রীর একটাই আফসোস -আমাদেরকে সবাই GF-BF ভাবে । উৎস্বর্গ- আধারকে।
Labels:
Onahotu
Shikshamulok Edited
শিক্ষামূলক
শিক্ষামূল তত কিছু ছিল না ভ্রমণে।
বিনোদিনী, স্মৃতিভারে জর্জর বিনোদিনী মোর
তীর্থে গেছিলে তুমি, সে খবর দিয়ে গেছে
কিছু মেঘ, কিছু ফাল্গুনী হাওয়া।
খেলনা নতুন কিছু বাকি আছে হাতে?
দিয়েছিলি যা যা, ভাঙাচোরা, সবই তো পুরনো,
শূন্যঝুলি, আর তবে কাকে নিয়ে বাঁচা?
তথাপি শিক্ষার বহু বাকি আছে তোর।
দু'চারটে নুড়ি
আর শালফুল গন্ধ-মাখা লাল লাল ধুলো
যদি উড়ে আসে আজ,
বুড়ো-চোখ বন্ধ রাখা, খুব কি জরুরী?
ওতে অভিনয় আরো ভালো হয় বাছা,
কান্নার সিন বড় বাস্তব লাগে।
চুরি করা ভালোবাসা, চুরির সময়,
এই নিয়ে ধনী হবি? হওয়া যায় কোনোদিন?
বহু শিক্ষা বাকি আছে তোর...
ভালো কথা বলি শোন,
থাক দূরে দূরে, অতীতকে ছুঁয়ে থাক শির-ওঠা বুড়োটে আঙুলে...
ঘর-বার অটুট অক্ষয় থাক সবাকার, সত্যে থাক মতি...
বিনোদিনী, তুই শুধু বিনোদিনী, অলক্ষ্মী অসতী ।
Labels:
Obhimonyu
Katakuti
মেঘ বলে ডাকা তোকে নিদারুন ভুল হয়েছিল
ভিড়ের নিবিড় ভাঁজ ঢের ভালো, কেন যে এ কাটাকুটি খেলা নেশাকর
তুই জানতিস, এখন শূন্য হাতে তিনসাগরের ঢেউ, অসিপত্রবন
নির্ঝরের হাতছানি, জলে ধুয়ে গেছে কাল, সকল শ্রবন
নাই বা উঠল ভেসে শ্রান্তপথে পান্থশালা, অনতিনিকট
শুয়ে আছে ফাল্গুনের শস্যহীন মাঠ, আরো একবার তাই কাটাকুটি খেলে দ্যাখা যাক!
Labels:
Shobor
Jodi Chithi Dao
এজউড অ্যাভেনিউ বরাবর সূর্য ওঠে, অস্ত যায়
তাও এ পরবাসে মেঘ নেই কোনো
জ্যাকসনভিলের ডাউনটাউনের জনজোয়ার অনেক কথা
বলে যায়, মেলাতে পারিনা
এখানে কোনো হলুদ পাখি নেই
যার কানে কানে কাছাকাছি আসার আগে
ছেলে মেয়েরা বলত বুকের কথা, কাছাকাছি হবার
বেদনার গান
যে নদীর বাঁকগুলি ছিল সহজ আর সুরেলা
তার তীরে এখন কোন ঘাস জেগে ওঠে!
যদি চিঠি দাও... চিঠিতে শব্দ লিখো আবছায়া
শুধু এঁকো হলুদ পাখিটির গান
এঁকো কুমকুমে কুসুমে তোমার ছবিটি...
Labels:
Ranjan
Piriti Jora Nahi Lagere
ওরে হাইলা লোকের লাঙ্গল বাঁকা
জনম বাঁকা চাঁন্দ রে
তাহার চাইতে অধিক বাঁকা হায় হায় আমি যারে দিছি প্রাণ রে
যেখানে ধানের গাছ অবিরত দোল খায়
সেই দিকে তাকিয়ে তুমি হাসলে
কি অবারিত আদিগন্ত শস্য
কিভাবে আকাশ অসীম... ভাবলাম এই বুঝি মুক্তি
খোলা হাওয়ায় হাওয়ায় নদী গান গেয়ে উঠল
অথচ জীবন বলল, চল যাই
পৃথিবীতে আরো কত ভূমি, কত হাওয়ার নেশায়
পাগল কত নদী
কাজে ও অকাজে ঘুরে আবার এসে দাঁড়িয়েছি আজ যেই
সে চিরন্তন শস্যপ্রান্তরে দেখি কেউ নেই ঈষত্ নতমুখে হাসবার ...
এ প্রাণে অঢেল মুক্তি দেবার ....
আর রোদ্দুর খুঁজে খুঁজে নদী গেয়ে যায় ভাঁটার গান
Labels:
Asiyan
Pajhor Shiri
পাঁজর সিঁড়ি
সহসাই দেহ অভ্যন্তরে কী এক ভীষণ বিজলিপ্রভার আমন্ত্রণে
আজ তোমার গভীরে নেমেছি – হাওয়াও পাতা, খড়কুটোগুলো
শূন্যে উড়াতে উড়াতে নিয়ে যাচ্ছে;
বুকফাটা চাপাহাহাকার ছড়িয়ে পড়ছে চতুর্দিকে, বুনোপাড়ার
ঢোলের শব্দ আজ বুকের ভিতর উসকে দিচ্ছে হাওয়া, খুব
দূরত্ব তাই নিকট মনে হচ্ছে;
পালক উড়ছে হরেকরকম বেলুন উড়ছে, পাশ ফিরছে তোমার
আমার গ্রীবার সন্ধ্যাতারা, লুট হচ্ছে পাঁজর সিঁড়ির ধাপের উঠা নামা।
Labels:
Mmandal
Somudrer Diary
সমুদ্রের ডায়রি/১
----------------------
নদীটি দাঁড়াল এসে শান্ত মোহনায়।
যেসব চোখের কাঁচে পৃথিবীপারের আলো দেখে নেওয়া যায়,
এখানে সমুদ্র ঠিক সেরকম, সবুজাভ নীল।
আ-যোজন পথ জুড়ে হেঁটে যাওয়া বেলাভূমি মৃদু ঊর্মিল।
বালিতে জলের চিহ্ন, ঝিনুকখোলস...
এখানে দাঁড়িয়ে নদী মরে যেতে চায় যদি, নদীর কী দোষ!
সমুদ্রের ডায়রি/২
-----------------------
এখনও ঢেউয়ের গন্ধে ক্রমাগত নিভে আসে মন।
জিভে লেগে থাকা কিছু কটু স্বাদ, বিষাদলবণ
দ্রব হয়ে যায়। আর ভেজাপাতা চোখ
বালির ওপর, আহা, ফেলে রেখে আসে সব অসুখস্মারক
নোনা জলহাওয়া এসে ছুঁয়েছে তোমার হাত, ছুঁয়ে দিচ্ছে ঠোঁটও...
তুমি শুধু অস্ফুটে বলেছ নিজেকে ডেকে – “তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে ওঠো”।
Labels:
Raka
Awlik Chhora
কলমীচাঁপা
জংলাপুকুর
আধখানা চাঁদ
জোছ্নাখুকুর
আয় না নেমে
এই উঠোনে
বলবে কথা
আজ দুজনে
মন্দ বলে
বলুক লোকে
মন্দ মাখব
নেশার ঝোঁকে
কাটলে নেশা
ফিরবো না আর
তাল সুপুরী
রইল তাহার
সবটুকু থাক
হৃদয় জুড়ে
ভুল দুপুরের
গানের সুরে।
Labels:
Urna
Pother Dhulor Moto Mishe Jai Swab
পথের ধুলোর মতো মিশে যায় সব।
হূদয়ের আরশিতে যে-সুর বাজে
আমার এ-মন খানি বসেনা কাজে
অচেনা এ-সুরখানি ব্যথার বালি
মরুভূমির বালুর ঝড়ে উড়ায় অলি।
অলিতে সে পথ হারায় পবণ এসে
জীবনের যত ব্যথা স্মৃতিতে ভাসে
কতকাল আর চেয়ে রবো এমনি ধারায়
সময় না পেলাম ধরতে সবিযে হারায়।
হারার মাঝে সুখ আছে যানিনী কখনো
যাহা পাবার আশাছিলো পাইনি এখনো
সময় যে কেটে যায় এর এমনি ভাবায়
সকল সে হারানো স্মৃতি জেগেছে সভায়।
সভা যে-ভাঙ্গবে একদিন লাজুক ভাবে
তিলে তিলে তুলোর মতো মিশিয়ে যাবে
যতদিলো সৃষ্টির আলো হারাবে ধারনা
সৃষ্টি-স্রষ্টার পূর্ণ-হবে সকল সাধনা।
সাঁধনার এই দুনিয়াটা তুলনাতে গড়া
ভবের সকল মানুষ ভাবে মনো ভরা
কী-বা এই প্রয়োজন ব্যতিক্রমের দ্বারে
জীবনের ব্যথাগুলো নিজেকে হারে।
হারজিত এর ধরণীটা শুধু মানুষের
ভালোমন্দ জ্ঞান দিয়ে সবি জাগিছে
আতরের সু-বাতাসে না বিলীন সবাই
সবাই-তো নিশাচর কেহইনা অভয়।
অভয়ের এই দুনিয়াটা হয় যদি এমন
তবে আর রবে কী ভালোটা কেমন?
কেমন করে গেয়ে যাবে সমতার গান
পথোশুধু চেয়ে আছে করে আহ্বান।
আহ্বানের সংকীর্তন পৃথিবীর পথে
চারিদিক চেয়ে দেখো নয় একসাথে
অপার আশার বালি হারাবার সাজে
যোগদেয় এ-সভাতে তাহার কাজে।
কায্য হয় এই যদি নিগরের মুলে
তুমি তবে যাবে কোথায় জগতের ভূলে?
আমি হই ঝড়াপাতা মরমীর বেশে
যেতে হবে একদিন আপন দেশে।
দেশত্বের কর্মগুণ আছে, নিগরের তরে
আশ্বিনের মমভরা পবণ পারে
সবাই আজ অবিণাশে ধরণী সাবার
ফিরে আর আসবেনা কখনো আবার।
Labels:
Bokhtiar
Dekha Hocche Ronger Hate
দেখা হচ্ছে রঙের হাটে
তোমার সাথে কালকে তবে
হচ্ছে দেখা রঙের হাটে,
এসো কিন্তু এই প্রভাতে...
রঙের জোগান অনেক আছে
লাল গোলাপি সবুজ হলুদ
আর যত চাও-আমার কাছে...
থির জলেতে ঢেউ তুলতে
মিটামিটাচ্ছে শুকতারাটি,
সাজব যখন কলির রাধা
ঐ বাড়িটার হুলোর তখন
লাগবে জানি দাঁতকপাটি!
দুঃখ আর হিংসের রঙ
কৌটো বন্দি করব বরং,
তোমার আমার রঙের খেলায়
ডুববে জানি সবাই নেশায়...
মাখব রঙ মাখাবো রঙ
একটু নাহয় হবই চুর,
একটা তো দিন... বছর ঘুরে
গেলাম না হয়... রঙ্গপুর......
কবিতা যাইহোক, রঙের এই খেলায়...রঙ্গের এই মেলায়- সকলের সাদর আমন্ত্রণ
Labels:
Malancho
Mitro Shokti
ইচ্ছা করলে গুঁড়িয়ে দিই, কিম্বা ঝোলাই শিক কাবাবে
ইচ্ছা মত শূলে চড়াই তাতেও ভবী কি শোধরাবে ?
যখন আমার খেয়াল খুশী তাকেই বলব পরার্থপর
বদ খেয়ালে পড়লে তখন তাহার গালেই চড় ও থাপড়;
এমনি আমি ভীষণ সূক্ষ্ম ছুঁচের গর্ভে রেশম সত্ত্ব
আত্ম পক্ষ বায়না ধরলে লক্ষ্য মোক্ষ মুশল মত্ত
হাত পা ছুঁড়ব মারব ধরব প্রেম ও পূণ্যে সমান দীপ্ত
কাব্যে বলব চাই না কিচ্ছু, পাই না অল্প, দারুন ক্ষিপ্ত !
তোমরা রয়েছো ধন্য ধন্য পুষ্পে পত্রে দাও হে ভক্তি
তোমার লেখাও আমিই লিখব, আমরা দুজন মিত্রশক্তি ।।
Labels:
Neel
Bechu Babu
বেচুবাবু
বেচুবাবু...
কয় কিসিমের স্বপ্ন আছে...,
তোমার কাছে?
আয়েশ করার নানান ফিকির
বিজ্ঞাপনের ইকির মিকির,
আসবাবে আর ফ্ল্যাট, গাড়িতে
জীবন বিমার দিক্দারিতে।
এ সব কিছুই যত্নে আছে...
তোমার কাছে।
কে শো-অফে চম্কে দেবে!
স্বস্তি জ্বলে মাইক্রো-ওয়েভে...
ফ্রিজ, শাড়িতে...ধনতেরাসে
মানুষ হারায়, পণ্য আসে।
হৃদয় নীরব। মুদ্রা বাজে
তোমার কাছে!
কস্মেটিকের সুন্দরী চাই
রঙ মেখে তাই মুখকে সাজাই
মুখোশ ঝোলে ছন্নছাড়া
মুখগুলো আজ সর্বহারা...
চাওয়ার বহর থামছে না যে
তোমার কাছে।
ইচ্ছেগুলোর চাওয়ার নেশায়
রে-ব্যানে ভাই চোখ ঢেকে যায়।
আর্চিস্-এ আর হলুদ খামে
প্রেমের আতিশয্য ঘামে।
যন্ত্রণা কি মরেই বাঁচে...
তোমার কাছে?
ক্রেডিট কার্ডে বাড়ছে দেনা
সুখ-কবুতর তা মানে না।
কম্পিটিশন খুড়োর কলে
''যা ছুটে যা''-রোজই বলে।
সব পেয়েছি'র দেশ কি আছে,
তোমার কাছে?
ট্যাঁকশালেতে বাজছে বারো
বলছ তবু-''আর ও...আর ও''
বিকল হল মনের ঘড়ি
শেষ কেনা কি কলসি-দড়ি...
শেষ কেনা কি কলসি-দড়ি?
শেষ কেনা কি..................!
বেচুবাবু...,
আর কতো দুঃস্বপ্ন আছে,
তোমার কাছে?
Labels:
Osechonok
Tobita
ভালো কাজঃ আমার সুবিধার জন্য যে সব কাজ করা হয়...
খারাপ কাজঃ যা কিছু আমার বিরুদ্ধে যায়...
চরিত্রবানঃ যিনি নিজ স্ত্রী ছাড়া ভুলেও অন্য কারো দিকে চোখ তুলে তাকান না..
চরিত্রহীনঃ যিনি বিবিধ মেয়েদের সাথে রঙ্গ তামাশা করিয়া বেড়ান...
ওসব কাজ আমি করিলে (ছি ছি ছি, তোমাদের মন এত নীচ)
(বিঃদ্রঃ নারীঘটিত বিষয় ব্যতিত অন্যান্য কিছু চরিত্রের অন্তর্ভুক্ত নয়... যেমন দূর্ণীতি, কাজে ফাকি দেওয়া... ইত্যাদি)
কবিতা লিখিতে জানি না... তাই একখানা টবিতা লিখিলাম...
Labels:
Kushmando
Choturdoshi
চতুর্দশী
এখন দেখি পবিত্রতা ছড়িয়ে আছে ডালে
এবং আছে পাতায় পাতায়, প্রকাশ্যে-আবডালে
অল্পখানিক পাপ যদি পাও আমায় ফিরে দিয়ো
মুহূর্তটির নাম রাখবো - অবিস্মরণীয়
আজকে দেখি উদাস আকাশ, দিব্যি পরিপাটি
চাঁদ চলেছে উদ্ধতশির, ঈষৎ ঝগড়াঝাঁটি
করছে বটে ডানপিটে মেঘ – নেহাত খেলাচ্ছলে
দখিন বাতাস লেখাচ্ছে নাম অসভ্যদের দলে
তবুও কোথাও ঝরছে পাতা বসন্তবৈভবে
পলাশকালীন শত্রু তারা? হয়তো বা তাই হবে
যদিও জানি ধূসর তোমার ভীষণই অপ্রিয় -
ঝরা পাতার নাম রেখেছি... অবিস্মরণীয়
Labels:
Sagarneel
Jhapsha Mon
আজব এক ঘর,
বাইরের সব কথা সে শুনতে পায়
কিন্তু ভিতরের সব কথা সবাই শুনতে পায় না।।
সেখানে চলে অদ্ভুত এক খেলা,
যেখানে মানুষ ভাসায় স্বপ্নের ভেলা।
যেমন রয়েছে হারানোর বেদনা,
তেমনি রয়েছে পাওয়ার পূর্ণতা।
যেমন রয়েছে ব্যাথার যাতনা,
তেমনি রয়েছে বিলাসিতার সৌখিনতা।।
কিন্তু তারপরও সেই চালায় রাজত্ব,
কারণ মানুষ মেনে নিয়েছে তার দাসত্ব।।
Labels:
Mita
Okshamotar Fordo
অক্ষমতার ফর্দ
--------------------------------
কি একটা কথা বলার ছিল
এত হট্টগোলের মাঝে বলা হল না
মঞ্চে একবার আমিও উঠতে চেয়েছিলাম
একবার
সিঁড়িতে এত ভীড় দেখে
ওদিকে আর যাওয়া হল না
নিজের ভেতর কথাগুলো কে গুছিয়ে নিতে হয়
শব্দের শৃঙ্খল মেনে সাজিয়ে নিতে হয়
প্রতিবার
একটা আগুন জ্বালানোর ছিল
অন্তিম মুহূর্তে এসে দেশলাই কাঠি ফুরিয়ে গেল
‘দাদা মাচিস হবে’ বলে
অচেনা কারও থেকে চাওয়া হল না
Labels:
Suvo
Rang Lege Thake
রং লেগে থাকে
বিকেল বা ঠিক দুপুর নাগাদ জলপ্রপাতের গায়ে লেগে কড়াইশুটিঁর রং
গোল মরিচের গোলটুকু বাদে নরম ছোঁয়া
ঝুর-ঝুরে মাটির
ভোরের ভাপের মত কুসুম কুসুম জল এলাচ রং
এ অবধি বেশ ভালই গেল...
আলো ঝরছে...কাঁথার ওপর...তরাই ভরে ঝুরঝুর করে পাঁজর ভেঙ্গে বেরিয়ে আসছে ভয় রং মাখনো মুখগুলো চেনা...আচেনা...খানিক চেনা...
বাঊরী বউ গায়ে সাবান মাখছে...তিন ভাগ আর্দ্রতা টেনে নিচ্ছে পিয়ানোর থেকে...পেছল পেছল রং
বাউরী বউ...অ বউ...চুপ কথা...
কম্লা শাড়ী ক্যাম্পফায়ারে পাশাপাশি শেড বিন্যস্ত
এটি ছায়ানির্ভর গল্প...
বিশেষ বিশেষ প্রবনতা সব সময় কাজ করে
প্যাস্টেলগুলো পাশপাশি সাজানোর সময়
গাঢ়-হালকা-গাঢ়-গাঢ়...
Labels:
Soma
Amar Basanto.....
শৈশব যৌবনের খেলা সাঙ্গ করে
নিরাশক্ত বিবাগী রূপে মগ্ন ছিল তুমি
শান্ত শীতল যোগীর রূপ ধরে
মন কে বেঁধেছিলাম তোমার সঙ্গ তরে
উপেক্ষা করেছি যৌবনের গোধূলি, আমি
কিন্তু এ কি হোল তোমার
কোন মায়াবী যাদু স্পর্শে তোমার চিত্ত হল চঞ্চল ?
এতো দিনের সাধনা উপাষণা ভঙ্গ করে
রূপ রস গন্ধের ভান্ডার উজাড় করে
আবারো যৌবনের খেলায় মাতলে তুমি, মাতল জীব সকল
দখিনা বাতাসে স্নাত হয়ে, চঞ্চল তুমি
কেন আমাকে করো উদ্বেল?
হিমবাহের বন্ধন কে ছিন্ন করে, পাগলা ঝড় কে গতি দিয়ে
অরণ্যের রিক্ত শাখায় এঁকে দাও কিশলয়, পরম যত্ন নিয়ে
তোমার চঞ্চলতা ছড়িয়ে দাও তৃণ পল্লবে, প্ত্র মর্মরে;
জাগিয়ে তোল পুলকমুখর রোমাঞ্চ দিক দিগন্তরে
বনে বনান্তরে, শ্যামল প্রান্তরে, নদী লহরীতে
গন্ধবিধূর আম্রকুঞ্জে , মৌমাছির কলতানে হরষিতে
কেন কেন তুমি কুঞ্জবনে ভাসিয়ে দাও কুসুমের ফোয়ারা
আগুন লাগিয়ে দাও পলাশে, প্রজাপতিদের কর মাতয়ারা
দোয়েল কোয়েলদের গলায় দাও বিরামহীন আনন্দসুর
বকুল, চম্পা, করবী উথাল পাথাল গন্ধ মধুর
কেন বলতে পারো, কিসের উল্লাশে
অশোক শিমূল কৃষ্ণচুড়ার রক্তিম উছ্বাসে
ভরিয়ে দাও এ ভূবন, আমাকে চঞ্চল কর ব্যাথা দাও
কেন মনে নতুন করে আনো ব্যাকুলতা আশা জাগাও
কেন মন রাঙিয়ে যাও নব পুষ্প পল্লবে, রক্তে মহুয়ার মাদক মেশাও
শরীরে আগুনের তাপ লাগাও, আলিঙ্গনের স্বপ্ন দেখাও
জীবনের ফেলে আশা প্রতিটি বাঁকে, সঙ্গী করেছি তোমাকে তখন
তবে কি তা ছিল আমার ভুল, করেছি তোমায় অনুসরন ??
Labels:
Proyash
Otho Computer Shikhsa
অথ কম্পিউটার শিক্ষা (১)
---------------------------------
ডেস্কটপ
-----------
বরফ ঘেরা পাহাড় আছে প্রেক্ষাপটে
বাম কোনেতে ছোট্ট মিষ্টি আমার ঘর
আমার যত দস্তাবেজ তার নিচেতে
ডান দিকেতে আস্তাকুড়
কাটছে দেখো ঐ ইঁদুর
তোমারা হাতের ঐ ইঁদুর
নেটওয়ার্ক
-------------
সন্ধ্যা হলে মনে পড়ে
তারা দেখলে মনে পড়ে
কিসের মায়া কিসের টান
দু’জন আছি দুই দিকেতে
দু’জনাতে নির্বাক
মাঝে থাকে পত্রলেখা
মাঝে থাকে নেটওয়ার্ক
ডেটা
---------
স্মৃতির এক সূক্ষ্মস্তর শব্দহীন
যদি না তাকে বুঝতে পার অর্থহীন
এক শুণ্য এক
শুণ্য শুণ্য এক ......
Labels:
Suvo
Purano Charta Lekha
১. এ্যাসিডিটি হয়
আমার খুব এ্যাসিডিটি হয় এইভাবে, যখন আমি আর ফুল ভালোবাসিনা । আমার ড্রয়ারের ভেতর প্রগাঢ় আলস্য নিয়ে একটা নদী শুয়ে থাকে।
আমার রুমালের কোণে জ্বলজ্বলে কোন বৃষ্টিবিধুর ফুল ফুটে থাকবার মতো
বিরহে ভিজে ভিজে আমি আর বাড়ি ফিরবোনা এইরাতে। কোন ধূসর
বর্ষাতির গহিনে ঢুকে যাবো। আর আমার ড্রয়ারের ভেতরে খুব এ্যাসিডিটি
হতে থাকবে এইরাতে, যখন সেখানে বিরহকাতর আর কোন নদী জাগবেনা,
নদী জাগবেনা।
২. তার প্রসঙ্গে
প্রতিবার বৃষ্টি দেখার আগে সঠিকমাত্রায় নিজ চোখকে বিশ্রাম দিন।
অতিমাত্রায় রোদভুক পাখির ডানা থেকে খসে পড়া পালক আপনাকে
অন্য ধারনা দেবে । তবু বৃষ্টি দেখার আগে পর্যাপ্ত আপনার চোখকে
বিশ্রাম দিন। আপনি জানালায় যাবেন না সচেতনভাবে যেন, এইমাত্র
ত্রিতাল ছন্দে বৃষ্টি বাজিয়ে চলে গেলো যে, তাকে একবার চূর্নপলক
দেখার আগে বিভ্রান্ত হবেন না, শুধু তাকে ভাববার আগে সঠিকমাত্রায়
নিজ মনকে বিশ্রাম দিন।
৩. গোলাপবাগানে
মুখাবয়ব যার প্রস্ফুটিত বিষাদের মতো, তার মুখ কী মোহন
উঠছে ফুটে কুণ্ডলায়িত ধোঁয়ার ভেতর, অলস পাক খেয়ে ক্রমে
দেহ নিচ্ছে সংবেদন অথবা সাপ! প্রকৃত খোলসের গান
এখানে ধীরজ, উঠে আসছে দেখো এইবেলা আমার বিষন্ন গোলাপ ।
এপ্রিলের সংবেদ খুলে ফেলছে ক্রমেই পাপড়ির দেহ থেকে
বিচ্যূত রাত; কিম্বা তার চে’ কিছু এক আশ্চর্য দেহতাপ !
আমার সংবেদন পড়ে আছে দূরবর্তী গোলাপবাগানে, নিস্ক্রিয় ।
আঁধারের ক্ষমতা মাপছে উরুপথের শিশ্নসাপ ।
৪. ওফেলিয়ার চুল
ওইখানে রোদের উপনিবেশ ভেঙে গেলে দূরে, গাছের বাকলে
ফুটে ওঠে হিজল সংকেত। প্রাঞ্জল বেলুন হারিয়ে ওফেলিয়ার সব চুল
নদী হলে পরে, দেখে নিও তুমি অস্পষ্ট রোদের প্রকার । তেমনি কিছু
দুঃখ লিখে রাখি আমি সূর্যের গায়ে, হৃৎপিন্ডে; বিষন্ন, বেলুনাকার!
ওইখানে রোদের উপনিবেশ ভেঙে গেলে দূরে, ওফেলিয়ার সব চুল
নদী হবে ধীরে, রূপ যার বিনীত সাপের স্বভাব ।
lekhagulo onek aager, somproti edit kora hoechhe. fole onek tai
bodle gechhe...tai share kora aarki. sobai bhalo thakun.
Labels:
Andaleeb
Dusshopno
দুঃস্বপ্ন
.........................
কাল কিছু বিস্বাদ দুঃস্বপ্ন এসে পুরো রাতটা এলামেলো করে দিল। শুকরের মুখ বিশিষ্ট একটা সাপ আমাকে তাড়া শুরু করতেই বাঁচার জন্য কাঁধ বরাবর গজিয়ে নিলাম একজোড়া জরিদার ডানা। শুয়োরমুখো সাপটা তখন কেমন অনায়াসে ড্রাগন হয়ে গেল। মেঘের ভিতর দিয়ে উড়তে উড়তে আমার ডানায় তখন চটচটে কুয়াশা জমেছে। যতই এগোতে চাই কেমন একটা আঠালো সোমরস আমার চলার পথকে জড়িয়ে জড়িয়ে নিচ্ছিল। আর ড্রাগনটাও রূপবদলাতে বদলাতে দাত নখ বের করে ধরে ফেলার উপক্রম....।
ভাগ্যিস ঘুমটা ভেঙে গেল। রাতের ঘুম না হয় ভেঙে যায়। কিন্তু জীবনের ঘুম.. ... ...?
Labels:
Mouno
Samudrik
দৃশ্যতঃ পৃথিবীর শেষ বলে কিছু নেই
অথচ ঋতুগুলি শুরু ও শেষ হয়
আর যে সমস্ত জাহাজ কোনো অন্তিম ভুলে ডুবে গেছে
সমুদ্রের লবণাক্ত সান্নিধ্যে তাদের নাবিকের চিঠি
ভক্ষণ করেছে মত্স্য
সেইসব মত্স্যের সন্তান সন্ততি
খুবই অতলে থাকে, কাছ থেকে দেখে সামুদ্রিক ফুল
কিভাবে ডানাগুলি খোলে
ফসফরাস কিভাবে লেগে আছে
অগণিত মাংসল হৃদয়ে
Labels:
Tanveer
Mone Kora Jaak
মনে করা যাক বেশ মজাতে আছি আমরা
প্রতিটা দিন যে ফাঁদ পেতে রেখেছে পেরিয়ে যাচ্ছি ফাগুয়ারা রঙে
মনে করা যাক যতটা ভালোবাসা
যাকে যাকে দেবার ছিল উপচিয়ে দিয়েছি
মনে করা যাক মৃত্যু আসলে পালকের মতো রেশম....
কার সাথে হেঁটে যেতে যেতে কে হঠাত্ বলেছে
বিদায়
মনে করা যাক সে বলেছে, দাঁড়াও একটু
আসছি এখুনি ফিরে
Labels:
Shivranjan
Ajj Tobe Ronger Kotha Hok
আজ তবে রঙের কথা হোক
জলছল প্রাণ; প্রাণিত ভোর। একটু ছলাৎছলে আকাশী রোদ্দুর। এই রঙ এই বসন্ ; মৃদু ধ্বনি ত্ যতটা অসংকোচে। বর্গের প্রথম ফাগুন লাগে যদি লাগুক না গায়।
আহ্! রঙ থেকে কেন যে ক্লোরোফিলে এলে; কথা ছিল গৈরিকে বুনে দেবো শ্যাওলার স্তর। মহীরুহ হতে পারে অসময়ের কন্ঠলগ্না হয়ে; শেকড়ের টান যতটা সংগোপন।
পেছনে তাকালে ওই কংক্রিট ক্যানভাস; গোপন থাকে না আর ফাটলের আঁকিবুঁকি। ইস্পাতের স্ল্যাগাচ্ছন্ন বীর্য মুখ দেখে নেয় বিষাদসিক্ত গর্ভাঙ্কের জলজ আয়নায়।
পারদের আড়ালে আকাশমুখী ভ্রূণ পেরিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মণের গণ্ডি। আসলে সীতা বা সুমিত্রায় হলযোগ্যতা প্রমাণ হলেও শিমুল ছিল কিনা আজও কেউ খুঁড়ে দেখলো না।
Labels:
Runa
Goppogaachhaa
গপ্পগাছা
হঠাৎ কোথাও দেখা হয়েছিল তাদের
মেয়েটি তখন যমুনার নীল সাঁকো
ছেলেটি যদিও শুকনো বোশেখ জুড়ে
ছায়া খুঁজেছিল...
আমি জানতাম ওদেরকে, আজও জানি
মেয়েটা এখন ভীষণ ব্যস্ত, দূরে
ছেলে ইদানীং গম্ভীর, পরিপাটি
ছেলে ইদানীং সারা মাস ভবঘুরে
ওদের গল্প কিছুটা শোনাই ছিল
বাকি কিছু ছিল গোপনীয় আন্দাজে
কেন কাছে আসা, কেনই বা সরে যাওয়া
কেউই বলেনি, হয়তো বা লোকলাজে
কিছুদিন আগে, সন্ধের অজুহাতে
ছেলেটার সাথে দেখা হল ওলিপাবে
এক কোণে বসে সুরাপানে মনোযোগী
সময় কাটাতে... এবং মধ্বাভাবে
কথা যা যা হল... খাপছাড়া খাপছাড়া
আড্ডা ভাঙল – রাত প্রায় সাড়ে ন'টা
আমি মদে চুর, ছেলেটা তথৈবচ
কাঁধে হাত রেখে চলেছে প্রগলভতা -
'মাঝে মাঝে এখনো দেখা হয় আমাদের, ভাবতে পারিস,
নয় নয় করে বছরে পাঁচ-ছ' বার। খুব ভোরে, দিল্লী এয়ারপোর্ট
পাশাপাশি বসে আছি, কফি হাতে। ও যাবে মুম্বই আর আমি
কলকাতা। একটু একটু করে সূর্য উঠছে ঠিক রানওয়ে ঘেঁষে।
ওর চোখেমুখে ছড়ানো হালকা ঘুম। কোনদিন বলল না
কোন পারফ্যুম মাখে, স্কাউণ্ড্রেল? শ্যানেল ফাইভ?'
'কী কী কথা হয়?'
'সে অনেক কথা। গেল বার ভেসে গেছি অর্থনীতির তোড়ে -
জমা পুঁজি, সঞ্চয়, ফিসকাল স্পেস। শেষে দেখি বুঝিয়ে বলবে বলে
খুঁজছে কলম। অগত্যা বললাম এবার খান্তি দে মা, বাড়ি যাই।'
'সত্যি বললি এই কথা!'
'বললাম। এমনই তো বলি। কানাগলি দেখেছিস?
সামনে রাস্তা নেই, পিছনে দুরূহ চোরাবালি। তেমনই
অন্ধকারে দেখা হয়ে যায় আমাদের। খেজুরে গপ্প করি -
ও শোনায় দেশকাল, আমি বলি মোহনবাগান।'
বদলে গিয়েছে সময়, বুঝতে পারি
ওদের কথারা অধুনায় সাবালক
লজ্জা পায়না মেয়েটিও অকারণে
ছেলেটির নেই দুঃসাহসের ঝোঁক
কোথায় প্রথম দেখা হয়েছিল যেন?
হরি ঘোষ স্ট্রীট? ক্ষুদিরাম বোস লেন?
বৃষ্টি সেদিন ভাসিয়েছে কলকাতা
কারও ছাতা নেই...
'বিশ্বাস করবিনা, ফুটপাথে হাঁটুজল প্রায়, তেমনি বৃষ্টি
ভাগ্যে বারান্দাটা ছিল, দাঁড়ালাম তারই নীচে, দেখি -
কিছু দূরে, ভিজে চুপ্পুড়ে, দাঁড়িয়ে রয়েছে একা, থমথমে মুখে।
পাশের পাড়ায় বাড়ি, চেনা মুখ, তার উপর বেথুনের মেয়ে
দায়িত্ব কর্তব্য বলে ব্যাপারটা আছে, তাই না কী? ঘন্টাখানেক
পরে বললাম - যদি আপত্তি না থাকে, পাশাপাশি হাঁটা যায়
পাড়া ইস্তক।'
'ঘন্টাখানেক তবে মৌন হয়ে ছিলি?'
'প্রেয়ার করেছি স্যার, সত্যপীর, ওলাবিবি, দক্ষিণরায়
কারুকে দিইনি বাদ। এছাড়াও সত্যি বলতে গেলে
বোবা ধরেছিল, কি যে বলি, কী বলা উচিত হাতড়াতে
হাতড়াতে সন্ধে হয়ে গেল।'
মেয়েটি বলেছে - হয়ত মিনিট দশ
তারপরে না কি অনাবিল বীররসে
ছেলেটি বলেছে, 'একা যেতে ভয় করে'
মেয়ে সাথে গেছে নেহাতই দয়ার বশে
ছেলেটিও ছিল প্রকৃতই মুখচোরা
মেয়ে হাসিখুশি, কমলালেবুর ফুল
অবাক সবাই ওদেরকে সাথে দেখে
তারপরে দিন সমস্যাসঙ্কুল...
'কী যে হয়ে গেল উচ্চ মাধ্যমিকে, তুই তো জানিস
যাকে বলে ভরাডুবি। ওদিকে ওর যা রেজাল্ট -
আকাশছোঁয়া। সায়েন্স নিয়ে যে পড়ব এমন আশা
কোত্থাও নেই, অতএব সব শেষ। কত কি ভেবেছি
ভাবতেও পারবি না, পালিয়ে বাঁচব অথবা গলায় দড়ি।
তিনদিন পরে, ঠিক দুক্কুরবেলা, সে এসে হাজির,
প্রথম পদার্পণ, পুরোনো বাড়ির দক্ষিণমুখো ঘরে'
'এ গল্প জানি। খুব বকেছিল তোকে। বলেছিল না কি
ভয় কী, আমি তো আছি।
অথচ কোথাও গোলমাল হয়ে গেল...'
'ভুল বলেনি রে, সত্যিই তো সে আছে। তুই বুঝবি না,
বোঝার কথাও নয়। ডেবিট – ক্রেডিট খাতাতেই শুধু মেলে।'
মুখচোরা ছেলে কীভাবে পালটে গেল
একথা জানত শুধু তার সেই মেয়ে
আমরা দেখেছি আতশবাজীর আলো
ঝলমলে যেন গল্পকথার চেয়ে
'কোন কোন দিন তোদেরকে দেখা যেত সন্ধের আগে
সাহিত্য পরিষদে।'
'একটাই দিন, তাও সেটা শনিবারে। সারা সপ্তাহে ঐ
একদিনই দেখা হত। গোটা হপ্তার জমানো কথার পুঁজি
শেষ করে ফেলা, যেটুকু থাকত বাকি, সেটুকু চিঠিতে
লিখে ফেলা বাড়ি ফিরে।'
'চিঠি লিখতিস! দিতিস গোলাপী খামে?'
'না রে বাবা। প্রেমপত্তর লিখি তেমন খ্যামতা নেই
কস্মিনকালে। ঘরোয়া কথাই, যেমন ক্রিকেট ম্যাচ
অথবা কমন রুম। কখনো কখনো সহপাঠিনীর কথা...
যদি রেগে যায়, যদি অভিমান করে, সে মান ভাঙাবো।
অথচ সে রাগত না। গায়ে কাঁটা দেয় এমনই
কনফিডেন্স।'
'আর তারপরে...'
'তারপরে... তুই ভাবতেও পারবি না, শনিবারগুলো
কত দেরী করে আসে। কলকাতা যেন শুধু বাধা দিতে জানে
প্রতি শনিবারে... কখনো চাক্কা জ্যাম, কোন শনিবার
আচমকা হরতাল, অকারণে তার কলেজেতে হাফ ছুটি
কখনো বৃষ্টি, ভীষণ দুর্বিপাক। মনে আছে এক এরকম
শনিবারে অঝোর বৃষ্টি রাস্তায় ডুবজল। নিশ্চই মেয়ে
কোনমতে আসবে না এমনই ভেবেছি...'
'অথচ সে এসেছিল...'
'এসেছিল আর অপেক্ষা করেছিল। ভেবে দ্যাখ তুই
পাগল আর কাকে বলে। তাই নিয়ে পরে ভয়ানক
ঝড় এল, বেঁচেছি নেহাতই মোটা চামড়ার গুণে।'
'সেই থেকে বুঝি ঝগড়াঝাঁটির শুরু?'
'ঝগড়া হয়নি আমাদের কোনদিন। কেউ বিশ্বাস করে না
সে কথা জানি'
মনে হল যেন আমি বিশ্বাস করি
ভালবেসেছিল, ওরা আজও ভালবাসে
অপেক্ষা করে, অপেক্ষা করেছিল
শহরে যখন শনিবার নেমে আসে
অথচ মেয়েটি এ শহর ছেড়ে গেল
ছেলেটি রইল হাসিখুশি, বাঙ্ময়
আমরা সবাই অবাক ওদের দেখে
কেবলই ভেবেছি - সত্যি এমনও হয়!
'কী যে হয়েছিল সে কথা জানিনা ঠিক। এক শনিবার
সাতানব্বই সালে, আমাকে বলল কলকাতা ছেড়ে যাবে।
এমনিই যাবে, অকারণে চলে যাবে, কলকাতা না কি
দুই চক্ষের বিষ। কত অনুনয় করেছি শহর জানে...
কী যে জেদী মেয়ে সে কথা না বলা ভাল। সারা রাত্তির কেঁদেছি
বাড়িতে ফিরে। মনে হয়েছিল দোষ কিছু ঘটে গেছে অথবা কাউকে
অন্য বেসেছে ভাল। অথচ এখনো একা একা রয়ে গেল...
দেখা হয়ে যায় দিল্লী এয়ারপোর্টে, খুব ভোরবেলা সকাল হয়নি ঠিক
সূর্য উঠছে রানওয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে, পাশাপাশি বসা, চুমুক, কফির কাপ...'
আমি জানতাম ওদেরকে, আজও জানি
মেয়েটা এখন ভীষণ ব্যস্ত, দূরে
ছেলে ইদানীং গম্ভীর, পরিপাটি
ছেলে ইদানীং সারা মাস ভবঘুরে
হঠাৎ কোথাও দেখা হয়ে গিয়েছিল
মেয়েটি যখন যমুনার নীল সাঁকো
ছেলেটি যদিও শুকনো বোশেখ জুড়ে
ছায়া খুঁজেছিল...
Labels:
Sagarneel
Nakkhatropaath
নক্ষত্রপাঠ
যিনি আমায় নক্ষত্র চেনালেন, আমি তার নাম ভুলে গেলে
আমাদের চারপাশে এক অপ্রস্তুত রাত নামে,
দেয়ালের পাশে পড়ে থাকে বিদীর্ণ প্রজাপতি !
আমি তো চিনেছি সব বর্ধণশীল ফাটলের দাগ,
নিমগ্ন অর্কিড প্রজাতি । আমি চিনতে শিখেছি
মানবিক স্পর্শের ট্যাবু, বাতাসের সুর, নক্ষত্রপাঠের
ব্রেইল পদ্ধতি ।
Labels:
Andaleeb
Obyekto Kichhu Kotha
কিছু কথা আছে যা মনের গভীরেই থেকে যায়,
আর কিছু কথা ফুটে উঠে নির্বাক চোখের তারায়।
ভাষার জন্য শব্দ হয়তো বাহুল্য মাত্র,
তবে নীরবতার আপন শব্দই বা ক'জন শুনতে পায়?
শুনতে চাইলে শুধু কান নয়, চোখেরও প্রয়োজন,
আরও প্রয়জন একটি হৃদয়ের,
যে হৃদয় শব্দের বাইরেও কথা শুনতে পায়।
যে হৃদয় অনুভব করতে পারে বাতাসের সুর,
সেখানে খুঁজে বেড়ায় ফেলে যাওয়া কোন দীর্ঘশ্বাস,
কিংবা নূপুরের রিনিঝিনি ঝংকার।
যেখানে দূর থেকে শব্দেরা কাছে ভেসে আসে,
আবার অস্ফুটে দূর থেকে আরও দূরে মিলিয়ে যায়।
আনন্দ-বিষাদ-মায়া সব এক হয়ে যেখানে
জন্ম হয় এক নতুন অনুভূতির।
সেই অনুভূতির হৃদয় না হলে কথার মূল্যই বা কি?
শব্দের তরঙ্গেরা নিথর দেয়ালে আঘাত হেনে হয়তো
প্রতিধ্বনির হাহাকার তুলবে।
একসময় অতৃপ্তি বুকে নিয়ে বাষ্প হয়ে মিলিয়েও যাবে।
তার কতটুকুই বা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পরে ধরণীর বুকে?
আর যতটুকু বাকী থাকে,
কিংবা হয়তো পুরোটাই,
সে কি বেঁচে থাকে না আপন ভূবনে?
যেখানে সে তিলে তিলে তৈরী করে নতুন এক স্বত্তার,
একান্তই নিজের মতো করে।
Labels:
Onityo
Lekha
এমনি
তারেতে খবর ছিল, তত সুস্থ নয়
ব্যাথা বাড়ে মাঝে মধ্যে, কখনও কম হয়।
কবিরাজি হাত তাঁর সবেতে- জানা
জমে থাকা এত কিছু জানাতে মানা ...
তাই সব দূরে দূরে বিদেশ বিঁভুই
মনিটারে ছবি ভাসে, মাউস হাতে ছুঁই।
না-লিমেরিক
১
টিঙ্কারাম ও মিঙ্কারাম একই পাড়ার ছেলে
দিন দুপুরে যখন তখন ফুটবলটি খেলে
যেই ফিরছে ঘরে
ঘাম ঝরে অঝোরে
পেলে-র মেয়ের ডলার হাসি সাইকেলটি ফেলে
২
হিচকি বাবুর পিচকিগুলো রোজ বিকেলে রোদ্দুরে
বায়না জুড়ে হাত পা ছুড়ে চাই নাকি তাঁর কুরকুরে
স্ত্রী হলেন মধুমতী
এত বেলা হল যদি
একখানা সেই প্যাকেট দিলে তিনিও থাকেন ফুরফুরে
Labels:
Jharna
Tobita- 2
অশ্লীলতাঃ সৌন্দর্যের নগ্ন উপস্থাপনা। প্রিয়দর্শিনীর বিকিনি দেহ নিয়ে আমরা হৈচৈ করি- ভিখিরিনীর নগ্নতা নজর এড়িয়ে যায়। হয়ত প্রথমটা উত্তেজিত করে বলেই।
গালাগালিঃ অনেকটা শরত্চন্দ্রের বড় প্রেমের মত। শুধু দুরেই ঠেলে না, কাছেও টেনে নেয়।
ত্যাগঃ কি যে শান্তি!!! প্রাতকৃত্যের পরেই ভালভাবে সমঝে ওঠা যায়।
Labels:
Kushmando
Wednesday, March 3, 2010
Duti Kobita
১) নার্সিসাস
কুসুম কুসুম লাল প্রান্ত ধরে চলে যায় ভুখা মিছিল
স্তম্ভিত আর সম্বিতে ফেরার মাঝে মোৎজার্ট.........
বাজছে কি?না নীরোর বেহালা?!
অগ্নিমান্দ্য ও অগ্নিকান্ড বাজার ফেরত হয়ে চলে আসে
মিয়োনো খবরের কাগজে!
রাস্তায় অগোছালো ভিখারির পরিপাটি মৃত্যু।
আর তুমি মাদমোয়াজেল.........
চোখে সানগ্লাস দিয়ে দেখছো বসন্তের জাগুয়ারপনা!
ডোরাকাটা সোনালি মসৃণ ঝলক-আশ্লেষে খুন ঝরে
হানা দেয় ঘরে হায়নায়!
আর তুমি নার্সিসাস,-সময়ের ভাঙ্গা আয়নায়!
২) জলসই
জলের সাথে আমার ছায়া বলছে আমার কথা
জল বোঝে না কোনটা কথা......কোনটা প্রগলভতা?
তাই জলেতেই ভাসিয়ে দিলাম আমার নীরবতা......
ছপছপিয়ে আতুর বিরাম আসলো এখন কাছে
ছলছলিয়ে কুড়িয়ে নিলো খাতার শেষের পাতা!
জল জানে না কোনটা কথা......কোনটা প্রগলভতা......!
Labels:
Osechonok
Chaya Debo Bole
ছায়া দেবো বলে
ফিরে এলাম,
কথা তো ছিল না, তবু ফিরে এলাম
না, আঁচলে মুখ ঢেকে নয়
ওডনায় বুক ঢেকে…
তবে বেপথু হাওয়াকে বলি না কখনও
উড়িও না বাপু আর হাওয়ায় আঁচল
এ কাহিনী বড্ড সেকেলে…
শুধু, দিন ঢলে গেলে বুঝি
পৃথিবী এগোলো আরো খানিক
তবু, কিভাবে যেন সে খেয়ে যায় গোল!
আমি জানি-
তুমিও নির্ভুল অংক কষে হয়েছো আধুনিক
সুখীসুখী হিমঘরে বসে বুঝিয়েছো আমাকেও
কাঁচের এপার আর ওপারের তফাৎ,
অনায়াসে করেছো কাৎ পৃথিবীকে
বিশ্বায়ন ও বিজ্ঞাপনে,
সুচারু সংষ্করণে যেমন রাতকে করেছো দিন
তেমনই দিনকে করেছো রাত…!
তবুও তোমার দোষ নেই কোন
তুমিতো শেখাতে কসুর করনি কখনও
আসলে, আমি বোকা,
তোমার লোভনীয় ওমে
আজও তাই নিজেকে সেঁকে নিতে পারিনি গরমে!
তবু ফিরে এলাম
ফিরে এলাম পৃথিবী গোল বলে
না, আঁচলে মুখ ঢেকে নয়,
সেই আদি, পুরাতন…চিরনূতন
আমারই আঁচলে তোমাকে ছায়া দেবো বলে……
Labels:
Malancho
Beakkele Rong
বেআক্কেলে রঙ
#
কিছু বেআক্কেলে রঙ সাদা জামায়
প্রহর গোনে
লেগেছে এ রঙ
পলাশ আর অশোকের বনে
#
আরো কিছু রঙ
সবুজ হলুদ রক্তবর্ণ
কিংখাবে আমৃত্যু সৈনিক চরণ-ও
#
নক্ষত্রপুঞ্জ
চাঁদ
ছায়াপথ
আঁধার ঘনালে যেন স্তব্ধ না হও
তুমি অধিরথ
#
সাদা পাতায় একমাত্র নাম
কৃষ্ণ
রাধা কলসীকাঁখে যমুনাতীর
নীলাম্বরী আর পীতবস্ত্র
#
আমি বলছি কি
শোনো
কখনও মরুর বুকে দৃশ্যমান হয়
পথের ভারসাম্য
#
Labels:
Arya
@@ami Nirpek0 Noi@@
আমি নিরপেক্ষ নই
আমার বাবা
সহ্যের পথ ধরে পাথর
পাড়ি দিয়েছে চুপের সকল পরীক্ষা
জানেনি পুত্রের লাশের ভার কতো ।
কিন্তু
দেবতা ঘরে যে বিপ্লবী ধূমকেতু
চার পায়ে বাড়ি ফিরে
উঠনে জন্মায় আরেক উন্মত্ত পদ্মা;
আমি দেখেছি
আমাদের শুনিয়েছে স্বয়ং ঈশ্বর ধারাভাষ্য ।
সবুজের পাতায় সবুজ স্বাভাবিক না হতেই
হঠাৎ ধ্বংস হলো গাছের কাঙ্ক্ষিত কুঠুরি!
ঝরতে ঝরতে মাটিও তল হারিয়েছে
মাটির লজ্জায় - জলও ঋণ নিলো
এতো প্রবাহে ঈশ্বরও ধুয়ে দৃশ্যমান হতো ।
শুধু
প্রহরের যে গুণে পরিত্যক্ত অধিকার
জাগেনি - পুনরুত্থান আর হয়নি
রক্তে রক্তের স্নানই হলো
পবিত্র হয়নি গ্লানির বয়ে বেড়ানো আস্ফালন;
আলো নির্বাসিত - ঠিকানা রুদ্ধ এখন জঙ্গল ।
তবুও
সমুদ্র কাঁধে নিয়ে ঠায় দাড়িয়ে
জাহাজের যে খবর আমি পাইনি
ব্যাপারীর ঘাট তবে বেদখল হোক
নিজ দরজায় বাঁধা সেই পাথর ভেঙ্গে ।
আমার বাবাও
ভার বহনে হাঁটতে হাঁটতে লাশ হয়ে যাক
শিশুপাঠে শেখায়নি কেন - যুদ্ধক্ষেত্রে কেউ আমজনতা নয় ।।
Labels:
Faysal Ovi
Notun Jonmo
মুক্তির নিঃসীমতার মতই অন্তহীন সেই klanti
সান্তনাহীন,
যন্ত্রণাময়,বড় ভয়াবহ।
সূধন্য ভালোলাগার একাকিত্ব
বুকের নির্জনে মরীচিকাময়
মরুভূমির বেদূঈন ঘোড়সওয়ারের মত উত্তপ্ত,
অতর্কিত বর্শা হেনে বিদ্ধ
একলা নিথর সে দেহ
নতুন জন্ম যে আসন্ন।.........
Labels:
Turki
Fagun Legechhe
ফাগুন লেগেছে বনে......
সে এক গল্পকথা। আমলকি আর স্বর্ণচাঁপায় আবিরীয় চাঁদ; তেহাই নামাচ্ছে মধুমাসের ফাঁসে। নিষ্পত্র গোলকচাঁপাও তুঁহু তুঁহু। দর্শনের দ্বন্দ্ব থাক বা না থাক; আমিও ছিলাম ওইখানে।
সবপেয়েছির দেশে আঙুললালন পদ্ধতি। ছাতিমি রাতও মাতাল হচ্ছে পায়ে পায়ে। নিত্য বোধের নৈমিত্তিক অবোধগুলো রইল না আর নিরপেক্ষ। শাল সেগুনের নোঙরছেঁড়া শব্দবৃত্তে মাতব কি মাতব না ভাবতে ভাবতেই আ...আ...আ...ন...ন্দধা...রা...
উথলে গেল কণিকায়। দলছুট পাখির ডানায় জমাট যন্ত্রণা উড়িয়ে এককেরা মুখ দেখে নেয় রোমান্টিক বেদনলহরে। অকারণের অস্থির ঢাল বেয়ে দূরে কোথায়; দূরে দূরে কণিকাকে সুদূর করা হয় না আর।
Labels:
Runa
Duburi O Doiyel
ডুবুরি ও দোয়েল
রোদের ভিতর দাঁড়াও, অনুভবের নদে ডুবুরি নামিয়ে
তুলে আনো তৃষ্ণার হাড় – উড়ে যাওয়া দ্বিধা ফিরে
এসে বসুক সাহসের মাস্তুলে।
সবুজ বিয়োগে ছিন্ন হওয়া আঙুলগুলি
ফিরে পাক দাঁড়ের প্রভাত।
আত্মহত্যার চিরকুটে স্মৃতির ছায়াপথ ভাসে।
বৈঠামগ্ন বালকেরা পাড়ভাঙা শব্দের তোড়ে ভাসিয়ে
দেয় প্রেমিকার প্রসন্ন নেকলেস,
তপ্তরোদ্দুরে দাঁড়ালে - অনুভবে ফোটে ডুবুরি ও দোয়েল।
Labels:
Mmandal
Tumi Asbe
তুমি আসবে
-----------------------
তেমন এক সকাল যদি আজ আসে
খরগোশেরা লাফায় বৃথা উল্লাসে
দুটি ভুরুর মেলামেশা যায় উবে
তুমি আসবে সেই চেনা বিশ্বাসে
আস্থাহীন ক্ষণস্থায়ী ছাদের ধার
পুঁচকেপানা বটচারার আতুরঘর
ঘুমের ঘোর পোশাক চোর স্বপ্ন সব
বৃষ্টিধারার গন্ধ তোমার নিশ্বাসে
তুমি আসবে সেই চেনা বিশ্বাসে
বসন্তেরা সাইকেলের দুই ডানা
খোলা চুল উড়ছে উড়ুক আনমনা
মুখে রেখে ঋতুশেষের আমলকী
শীতল জলের মিষ্টি স্বাদের প্রত্যাশায়
তুমি আসবে সেই চেনা বিশ্বাসে
দূরে তুমি জানি দূরে অনেক দূর
দিব্যঘুড়ি উড়ে বেড়ায় কল্পপুর
ঘরজোড়া আলস্যের কার্নিভাল
যাক কেটে যাক তোমার আসার আশ্বাসে
তুমি আসবে সেই চেনা বিশ্বাসে
Labels:
Suvo
Araddho
আরাধ্য
---------
১।
বিধাতা,
পাপমোচনে আমি হব নরকের প্রেতাত্মা!
তবে মৃত্যুপূর্বে আরাধ্য একটাই,
আমার কোন এক ভাং ধরা দুপুরে
শুধু তার ক্ষয়ে যাওয়া লাল সিদুর
দেখতে চাই!
২।
তার চুল উড়ে যায় বলে,
সন্ধা নেমে আসে
আমার আলোক দ্বি-প্রহরে।
মগ্নতা আসে ভাবনায়,
শুদ্ধতা খুজে পায় বিবেক।
উন্মাদ হয়ে যাই,
আমি বদ্ধ উন্মাদ।
তখন আরাধ্য কবিতার আমি পূজা করি,
প্রনাম করি আমি অন্ধকারের শব্দমালার।
উড়ে যায়, উড়ে যায়,
তবুও তার চুল অবিরাম উড়ে যায়।
৩।
আজ আমাকে রক্তাক্ত কর,
আমাকে দ্বিখন্ডিত কর,
আমার রক্তে টিপ পড় কপালজুরে,
সিথিতে লাগাও সিদুর,
তবেই আমি শুদ্ধ হব
পরিতৃপ্তি পাব।
তারপর হৃদপিন্ডে যাও
একেও দ্বিখন্ডিত কর,
আবার এই দ্বিখন্ডিত হৃদপিন্ডে
দু-হাতে স্পর্শ কর,
কারও অস্তিত্ব টের পাবে।
-------এটাই হয়ত আমি নতুবা সে।
৪।
বেলা যায় বেলা আসে
এটাই-তো ধ্রুব সত্য,
অন্ধ হৃদয় তবুও মহাশয়
ভিখেরীর চোখে বিত্ত।
৫।
তুমি চাইলে,
অভিমানই হবে আমার রাত্রির পোষাক।
খুনসুটি, পিছু ছুটাছুটির বদলে
আমি চাইতেই পারি আপোষহীন দৃষ্টিপাত।
Labels:
Ontim
Adho Alo Adho Ondhokar.
আধো আলো আধো অন্ধকার।
বখতিয়ার শামীম। ২৩-০২-২০১০
বৈকালি চাঁদ, নীবু নীবু প্রদীপে প্রহরের শেষ বেলা....
নিমন্ত্রন্য বসন্তের দমকা হাওয়া আমার পরশ মনে ছিল যত চাওয়া
এইআজ-দিন থেকে যাবেনা-তো বাদ....
এই আজ-দিন ছিল অমর বিকাশ, সময় পাইনি একটু করতে প্রকাশ
বসন্তের দোলালিত হাওয়ায় হাওয়া....
কোন কালের বরসাতে ভব-ঘুরের দরশাতে যাবেনা যা পাওয়া...
স্মৃতির উঠণে নাই ক্রান্তিকাল, কখনো পাইনি আমি ছাড়ানো সে পাল
এজীবন সমরোহে ছুটবেই দাওয়া আর কায়া
বিমুর ধ্বংসে যা যাবেনা নোয়া, অন্ধ আলোতে যা যাবেনা ছোঁয়া....
অবসন্ন ফাগুন, জ্বলে বসন্তে আগুন...
জ্বলে এই দিনশেষে শ্রমিকের পোয়া, নয়নে লাগিবে ধোঁয়া ভাসিবে জল
জীবনের সব কিছু হয়ে থাকে ঝড়া, নীবু নীবু করে পলমল
আমরা দুখিনী রথে চলি-সে একই সাথে জীবনের শেষ শুরু সম
চলি-সে একই তালে হারায়ে সকল মত
একই তার ভরসাতে পথো পারি দেওয়া.....
বৈকালি চাঁদ, অস্থায়ী দিন আর রাত,
আমার জীবন মাঝে নাই কোন নিন, নাই কোন সূচনার সাফল্যময় প্রান
শুধুই চাওয়া চায়ি, শুধুই পারা পারি, অবশেষে নাহি পাই ভালো কিছু দান...
আমরা এবসন্ত দিনে কোকিলের কাছে নেই সুর….
দোয়েলের কাছে নেই নতুন বাঁধা গান….
আমাদের সেই গানে করে আহ্বাণ, নতুনের ঝলোমলে নেচে ওঠে মান....
আমরা গভীর সমূদ্র হতে নেই বেহালা…
প্রসন্ন তুফান হতে নেই রঙ্গ-ধ্বনি, আগুনের কাছ হতে নেই তো নীরব
বৈকালি চাঁদ হতে পাই শীতলতা, এতেই সব হয় সরব...
আমরা বসন্ত বনের তরে বসে, এক আসনে তুলেছি ফুল
কোনবা হট্রগোলে ভেঙ্গেছে, ভেঙ্গে যায় সব নিরামিষ ভূল…
তেমনি সুযোগ বহে গড়েছি আসন, না ডিঙ্গে কারো জাতি কুল....
আমরা যাবনা নোয়া বৈকালি ধুসর চাঁদের আলোয়…
হবনা একই সাথে বর্ননাময় সূর্যের আলোহারা....
আমরা তিমির রাতে জ্বলেছি শিখা, আমাদের বদলায়েছি রং বদলায়েছি দুটি হাতের রেখা...
রঙ্গিন এ-ধরনী সদায় চলেছে সবো শেষে
সদায় ভেসেছে রঙ্গিন কিছু....
যাচ্ছে যাহাকিছু তব এঁকে এঁকে এক অনন্যতার দেশে.....
আমরা এবুকের পাজরে রেখে সব সুখদু:খ করেছি এই ধরার রচনা…
সেই যে হাজার বছর আগে করেগেছে যার সূঁচনা, আমরা এই বৈকালি দিনে, ধরে আছি আজও সেইসব …
ঘুরছে একই প্রতিক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রনে আছে এক রব।
বৈকালি চাঁদ, নীবু নীবু এ আমার স্বপ্নের আকাশ
ভূবণের যত ভালো কিছু , আজি এ বসন্তদিনে হয়-সে প্রকাশ এঁকে এঁকে
তেজহীন সূর্যের আলো এখনো যাইনি সোপাং...
Labels:
Bokhtiar
Backseat
ব্যাকসিটে...
গ্যালিলিও গলিতে বেতার আর শীতের বিকাল নিয়ে ফিনিক্সের দল খুব উড়ছিল
বিকালের দেয়ালে কিঊবিক বিন্যাস
এক একটা ফিনিক্সের
ছবিগুলো বিলকুল ডি-ফোকাসড
দেয়ালের সমস্ত ডট মায় রঙ
আনরিচেবল...
অনেকগুলো শব্দ ডাইরীর পাতায়
১। ল্যাপটপে সন্ধ্যা নামল
২। শাওয়ারের জলে ক্রিং ক্রিং
৩।আইহোলে একটি মাত্র কাঁটা আর চামচ
আসলে মিসেস সেন...উল্কাপাত...ঊল-কাঁটা
ফসিলের মেরুদন্ডে...ডানা মেলছে সোডিয়াম আলো...
ধাতব গন্ধ...চান্দেরী সুর .................
আবাদ...দোফসলী.জমি..টেরাকোটার সিঁড়িতে চু- কি-ত-কি-ত
ক্ষয়াটে চাঁদ মেঠো বিড়ালে চুপচাপ শুয়ে
ব্যাকসিটে
শীত শীত বিকালে আমি আর মিসেস সেন ভিজে যাচ্ছি ক্রমশঃ.........
Labels:
Soma
Awsanglagno
অসংলগ্ন
আপনি একশো টাকা ধার পেতে পারেন
ধারে একটি দেশলাই কাঠি কিছুতেই পাবেন না সময়মত......
হাতে ধরা সিগারেটের আয়ু এই ভাবে বেড়ে যায়
এই ভাবেই বেড়ে যায় আমাদের আয়ু.........
Labels:
Neel
Green Earth
এই যে এইমাত্র তৃণ লিখলাম
সাদা পাতায় একটি তৃণ হল
বিনয়মের মতো কোনো দুরূহ পাখি সামান্য তৃণ
আমি লিখলাম, সে, তারা, অনেকে
সবাই লিখতে লিখতে
পৃথিবীতে তৃণ ছেয়ে গেল
শ্যামল পৃথিবী
Labels:
Madhurima
Megh Trishna ... 3
অন্তরাত্মা, সে কোথায় থাকে?
মাথায়? হৃদয়ে? পেটে?
ব্যবচ্ছেদের ক্লান্ত আঙুলে
রক্ত মাংস শ্লেষ্মা মজ্জা ঘেঁটে
পাঁচমাথা মোড়ে প্রতি মুহূর্তে জটিলতা আছে জেনেই
গিয়েছি খুঁজেছি মেনেও নিয়েছি
সে নেই
গাড়ির চাকায় হাওয়ার পাখায়
আমার শহর যে দিকে তাকায়
আলো আঁধারের ঘর বাড়ি গম্বুজে
পাচ্ছি না তাকে খুঁজে
শুধু ছুটন্ত ব্রোঞ্জের ঘোড়া
বিস্মৃত এক নায়ককে নিয়ে ... আকাশের পটে স্থির
খোঁজ নেই স্বস্তির!
ঘোড়াটির সাথে ছুটব ... ছেটাব ...
তৃষ্ণা মেটাব স্বপ্নের পানপাত্রে
দশটা আঙুলে হাতড়ে
একদিন দেখো ঠিক পেয়ে যাব স্বস্তি।
শ্মশানের ছাই সরিয়ে কুড়োব
পিতামহদের অস্থি।
Labels:
Benoy
Tar Chokhe Premik-premika(1)
তার চোখে প্রেমিক-প্রেমিকা(১)
-------------------------------------
গ্রিলের ওপারে সন্ধ্যা নামার সংকেত
ঝিমধরা জীবাণুরা বসে আছে
প্রগতির গায়
জ্যামের মিথ ভেঙ্গে ছুটে এল
এল পি জি অটো
যুবরাজ নেমে আসে পরণে জিন্সের প্যান্ট
মুঠোফোন হাতে নিয়ে
স্মিত হেসে কুমারী দাঁড়ায়
কথা বলে ওরা গ্রামাফোনের স্বরে
অস্পষ্ট একটানা ভাষায়
Labels:
Suvo
Kobi O Kobita
মেঘ বালিকা কোনায় কোনায়
আকাশ মাঝে বাজের খেলায়
রাত শুরু গুরুগুরু।
ও বসন্ত ককিল
জীবন শুরু
বৈশাখী হাওয়ায়
বুকের মাঝে দুরুদুরু।
জলফোটা বিন্দু বিন্দু
বৃষ্টি ভেজা পাতার ওপর দিয়ে
শিরায় শিরায় রক্তোস্রোতে
উঠে আসে এক কবি ও কবিতা।
Labels:
Turki
Ek Din
Ek Din samosto jodhdha bisonno hawar mantro sikhe jabe,
Ek Din samosto bridhdho dukhkho hin bolte parbe, jai.....
Ek Din samosto Dharmo artho pabe vinno rakomer,
Ek Din samosto shilpi kalponar protima banabe.
Ek Din samosto nari chokher ingite bolbe, eso.....
Ek Din samosto Dharmo Murti kere niye nishpap balok bolbe, ha ha........
EK Din ey sob habe boley ekhono surjo othe, brishti pare, abong kobita lekha hay.............................
Labels:
Tapas Paul
Agamee Falguner Sombhobonagulo
আগামী ফাল্গুনের সম্ভবনাগুলো
অঘ্রাণী জ্যোৎস্নার জিভে আমি কোনো রোহিণী দেখিনি
কথা ছিল ঠোঁট এঁকে দেবে আগামী ফাল্গুনে
হর্ষিত নাভি থেকে ঝরে যাবে
কুমকুম ও কোয়েল
গাঢ় হবে হর্ষচরিত
কথা ছিল
মনে পড়ে?
নদীজলে গড়া আধখানা বাসায় আমি কোনো প্রত্যয় দেখিনি
বিষণ্ণ ঘুমের পাঁজরে ঝিমঝিম কথা ছিল
ঘুমঘোর থেকে লাটিমের ঘুর ঘুর উড়ে যাবে
সুরমা ও সৈকত
ঘুমের ঊরুতে ঝিঁ ঝিঁও নামাবে রাত
কথা ছিল
মনে পড়ে?
মণিবন্ধে জমে ওঠা অভিমানী রেণুতে আমি কোনো পরাগ দেখিনি
কথা ছিল রোয়ানো রোদ্দুর থেকে জ্বেলে দেবে রোশনাই
রমিতার স্তনভারে উড়ে যাবে
রজঃ ও শিমুল
অঘ্রাণী নদীজলে সফল সঙ্গমে বেঁধে দেবে মণিবন্ধ
কথা ছিল
মনে পড়ে?
Labels:
Bondish
Nibisto Protijogi
নিবিষ্ট প্রতিযোগী
সামনে ছড়িয়ে দিগন্ত প্রসারী মাঠ
মাথার উপরে অনন্ত নীলাকাশ
পিছনে পড়ে স্বপ্নজড়ানো অতীত,
তবু, গুমোট হাওয়ায় সকলের ভারী নিঃশ্বাস...
বৃষ্টিকণায় সিক্ত নিমগ্ন প্রেম
হাতছানি দেওয়া ভরপুর আশ্বাস
বুকে ভালবাসার স্বপ্ন-বাসা,
তবু, সম্পর্কের কঠিন আবরণের নীচে নগ্নতার ত্রাস...
যে কোন পথে এগিয়ে চলায় লক্ষ্য
গ্ল্যামারের মোহে উত্তাল বাতাস
আখের গুছানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা,
আজ আমারও নিবিষ্ট হাতে প্রতিযোগিতার ক্যানভাস!
Labels:
Malancho
Subscribe to:
Posts (Atom)