Thursday, May 13, 2010

Part-1SHOUROBER KOSHTO

শাহনাজ বলছেঃতুমি না খেললেও আমি খেলব

আমি বললাম বাহবা...ঝাল আছে দেখছিতা বাজিটা কিসের আগে জেনে নেই!!!তোমার তো জানা থাকার কথাচুপ করে বসে আছ কেন?বলো,বাজিটা কিসের?

শাহনাজ কাওছারকে ডেকে জিজ্ঞেস করছে,বাজিটা কিসের?

কাওছার বলছে,এই খেলায় যারা জিতবে,ওরা দুইজন সব সময় পার্টনার হয়ে খেলবে

আমি বললাম যারা হারবে?

কাওছার বলল,যারা হারবে তাদের আবার কি?

আমি দেখলাম কাওছারের বান্ধবী তার পার্টনার হয়ে খেলছে,আসলে শুধু সে না,সবাই নিজ নিজ পছন্দের মেয়েকে পার্টনার করে খেলতে চায় এবং খেলেওআমি বেশি আমার ক্লাস মেইট এবং ভালো বন্ধু রব্বানীকে পার্টনার করে খেলতামআজ সে না আসাতে আমার এই অবস্থা আমি বুঝে গেলাম এইসব কাওছার এবং শাহনাজের চালাকি,তাই বললাম যারা হারবে ওই দুজন আর কোনদিন পার্টনার হয়ে খেলতে পারবে নাবল এতে রাজি কি না তোমরা?রাজি থাকলে এস খেলা শুরু করি আরেকটি কথা আজ যদি তোমরা এই বাজি না খেলো তাহলে আর কোনদিন তোমাদের সাথে আমি বাজি খেলব না

কাওছার চিন্তায় পরে গেল,শাহনাজকে ইশারা দিচ্ছে...অন্যদিকে কাওছারের বান্ধবীও এই শর্তে রাজি হচ্ছে না

অবশেষে, সবাইকে বাজির শর্ত শুনিয়ে সাক্ষী রেখে খেলা শুরু হলইন্সট্রাক্টরও সাক্ষী এবং রেফারি

কাওছার খুব সিরিয়াস হয়ে খেলছে, শাহনাজও জান প্রান দিয়ে খেলতেছে,খুব নার্ভাস এবং চেহারাটা মলিন হয়ে আছেপ্রথম গ্যাম ওরা জিতে যাওয়াতে মনে হচ্ছিল শাহনাজ কেঁদেই ফেলবে,কারণ আমাদের স্কোর ছিল মাত্র সাত শাহনাজের মুখে কোন কথা নেই,সে বুঝতে পেরেছে আমি যে ইচ্ছা করে হারতেছি

দ্বিতীয় গ্যাম শুরুওদের পয়েন্ট সাত আমাদের শূন্যশাহনাজ পাগল হয়ে খেলতেছে,এবং এত ভালো খেলতে শাহনাজকে আমি আগে কোনদিন দেখি নাইশাহনাজ হালকা পাতলা এবং গায়ের রঙ ফর্সা ছিলকিন্তু আজ শাহনাজের চেহারার রঙ বদ্‌লে মেঘলা আকাশের মতো হয়ে গেছেচোখে পানি টলমল করতেছেযখন তখন বৃষ্টি নামতে পারে

একপর্যায়ে সাটল মাটি থেকে তুলতে গিয়ে চোখে চোখ পড়ে যায়,শাহনাজ সাটল ধরতে গিয়ে আমার হাত ধরে বসেএই দৃশ্যটা কাওছার দেখে ফেলে এবং শাহনাজকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে,কি আর কর বা,শেষ বারের মতো হাতটাই ভালো করে ধরে নেও

এই কথা শুনা মাত্রই শাহনাজ চোকের পানি চেড়ে দিল,এবং তার চোখের গরম এক ফোটা জল আমার হাতে পড়েতারপর আমার শরীরে কারেন্টের সকের মতো এমন কি যেন লাগলএই এমন এক অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না আমি গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে শাহনাজকে বললাম পিছনে যাওসে আমার দিকে এমন এক অবাক দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে,চোখের পলক ফেলছে নাআমি ধমক দিয়ে আবার বললাম পিছনে যাও

তারপর কাওছারকে উদ্দেশ্য করে বলি, কার হাত কে ছাড়ে/ধরে খেলা শেষে বুঝা যাবেএখনো রাকেট হাতে এবং গ্যাম অনসো লেটস ক্যারি অন প্লেয়িং

তারপর কীভাবে যে কী হয়েছে আমি নিজেই জানি নাবাকি যারা ছিল সবাই খেলা বন্দ করে আমাদের খেলা দেখছেদ্বিতীয় গ্যাইমে ওদেরকে সাতে রেখেই আমরা উইন করি

শেষ গ্যাইম শুরু শাহনাজের আকাশের মেঘ কেটেছে,কিন্তু কাওছারের টেনশন বেরে গেছে

শাহনাজ ৬পয়েন্ট নিয়ে আউট হয়,সাটল আমার হাতে,শাহনাজ থাকিয়ে আছে ওদের পয়েন্ট এখনো শূন্য শাহনাজকে একটু চিন্তিত দেখা যাচ্ছে,আমি সার্ভ করি,আর আমার সার্ভ নেটে আটকা পড়ে যাওয়াতে শাহনাজের চেহারায় বিষণ্ণতার প্রমাণ পাওয়া যাইতেছেকাওছারের বান্ধবী খুব নার্ভাহ হয়ে সার্ভ করছে,কিন্তু তার সার্ভিস ও আটকা পড়ে নেটেএতে শাহনাজের গলায় একটু রস এসেছে মনে হচ্ছিলকাওছার চেঁচামেচি করছেএবার কাওছারের পালাকাওছার খুব ভালো খেলে আমরা কি কাওছারকে টেকাতে পারব তা হয়ত শাহনাজ ভাবছে? কিন্তু ভাব তো ভালো না,কাওছার একাই ১১ নিয়ে নিছেশাহনাজের আকাশ আবার মেঘে ঢাকা পড়েছেকাওছার আমার দিকে সার্ভ করছে,

কিন্তু......একী হল,কাওছার ও আটকা পড়লো নেটেশাহনাজ ও সার্ভ করে কোন পয়েন্ট না এনেই আউটএতে কাওছারের গলায় একটু রস আসেআমারও নার্ভাসি লাগছে

শাহনাজের মলান চেহারার দিকে থাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করছি,আমি কী পারব না শাহনাজের বিষণ্ণতা দূর করে ওর মুখে একটু হাসি ফোটাতে?পারব না ওর আকাশের মেঘ সরিয়ে একটা সুনীল আকাশ উপহার দিতে?মেয়েটা আমার দিকে থাকিয়ে আছে,কান্না কান্না ভাবকিন্তু কেন? এইটা তো খেলা,আর এতে হার জিত তো থাকবেইতাহলে শাহনাজ এমন করছে কেন? সে যাই হোক, আমাকে কিন্তু এই খেলা জিততেই হবে কাওছারের দিকে থাকিয়ে ভাবছি এবারও কি আমি নেটে আকটা পড়বো? আমি নেটে আটকা পড়লে শাহনাজের কি হবে? আমরা কি আর সুযোগ পাব? আমাদের মাত্র ৬পয়েন্ট আর ওদের ১১

যাক,তারপর আমি সার্ভ করি এবং আমার হাতেই খেলা শেষ হয়শাহনাজ ইয়েস,

হুররররররররররে ইউ ডান ইট... বলে খুশিতে আমাকে জড়িয়ে ধরে......

এই নিয়ে অনেক হাসাহাসি,বলাবলি হয় শাহনাজ কোন রিয়াক্ট না করে আভইড করে যায়কিন্তু আমার কষ্ট হচ্ছে এবং ভাবছি আগামি কাল শাহনাজ কি করবে?আজ শেষ ক্লাস ছিল বলে নেহা তেমন কিছু বলার সুযোগ পায় নাইআমি জানি নেহা আগামি কাল ক্লাসে ঢুকেই শাহনাজের পিছনে লেগে যাবেনেহা খুব জগড়াটে এবং বাজে স্বভাবের একটা মেয়েসব সময় পরচর্চা আর খোঁচাখুঁচিতেই ব্যস্ত থাকেআমাকে নেহা সহ্য করতে পারেনাএকদিন নেহা আমার দিকে বন্ধুত্বের হাত বারিয়ে বলেছিল, লেটস বি ফ্রেন্ডআমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলাম,আমি মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করিন না,বিশেষ করে তোমার টাইপের মেয়েদের সাথে তো কখনো নাঊত্তরে নেহা বলেছিল আমার টাইপের বলতে কি বুঝাতে চাও আর তোমার টাইপের মেয়েরাই বা কেমন হয় বল একটু শুনি?

আমিঃ তুমি জেনেই বা কি করবে,তুমি তো আর ওদের মতো হতে পারবে নাতুমি নিজেকে বাংগালী বলেই মনে কর না, আর বাঙ্গাগালী কালচারের মেয়েদের তো তুমি সহ্যই করতে পার নাবিশেষ করে শাহনাজ এবং স্কার্ফ পড়া মেয়েদের

নেহাঃ ও...বুঝতে পেরেছি,তোমার শাহনাজ টাইপের মেয়ে পছন্দ,আমার জায়গায় শাহনাজ প্রস্তাব দিলে তুমি নিশ্চয়ই গ্রহন করতেকী ঠিক বলছি না? তো এতই যখন পছন্দ ওকে সরাসরি বললেই পারতুমি চাইলে আমি হেল্প করতে পারি...

আমিঃ ধন্যবাদতার আর প্রয়োজন হবে নাতোমার জায়গায় শাহনাজ হলেও আমার সিদ্ধান্ত পালটাতো নাকারণ আমি বলেছি মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করি নাতোমার মতে কি শাহনাজ মেয়েদের কাতারে পরে না?

নেহাঃ মেয়েদের তুমি এত ভয় পাও কেন? বড় ধরনের ছ্যাকা খাইছো নাকি?

তবে তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে,কারণ আজ পর্যন্ত আমাকে কোন ছেলে সরাসরি এই ধরনের কথা বলার বা আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার সৎ সাহস পায় নিতুমি হইলা প্রথম ছেলে,যে অপ্রিয় হলেও আজ এই কঠিন সত্য কথা গুলা বলতে একটুও দ্বিধাবোধ করো নি

আমিঃ এখনও খাইছি না,তয় ছ্যাকা খাওয়া থেকে বাচতে চাই তাইআর সত্য কথা বলতে দ্বিধাবোধ করার কি আছেওরা সুন্দরের পূজারী,ওরা তোমার বাইরের রুপটাই শুধু দেখেছে, আমি দেখেছি ভিতরেরটামানুষের মন সুন্দর তো সব সুন্দর

নেহাঃবাহবা... কিন্তু...যারা এইসব ভয় পায় ওদের জন্যই বেশির ভাগ এইসব থাকেকিন্তু বন্ধুত্ব আর ভালবাসা কি এক জিনিস?

আমিঃ মেয়েদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্কই কিছুদিন পর ভালবাসায় বদলে যায়

নেহাঃতাতে অসুবিধাটা কোথায় ?আর প্রেম না করেই এতো অভিজ্ঞতা!!!হুম...

আমিঃআমি শুনেছি প্রেমে ব্যার্থ হলে নাকি মানুষ খুব কষ্ট পায়কেউ কেউ বিরহানলে পুড়ে কাতর হয়ে এক জিয়ন্ত লাশ হয়ে বেচে থাকেনা পাওয়ার বেদনা মানুষকে তিলেতিলে মারেকেউ কেউ আবার আউলা-বাউলা হয়ে একতারা হাতে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে

নেহাঃ আরে বাহ...ওনেক কিছুই জান দেখছি?কিন্তু তারপরও তো মানুষ ভালবাসে সৌরভ!!! আর প্রেম ভালবাসা তো এইসব যুক্তি মানে নাপ্রেম ভালবাসা তার নিজস্ব গতিতে চলেপ্লান করে ভালবাসা হয় নাইনফাক্ট প্রেম করা যায় না,হয়ে যায়আর কখন কার সাথে কার ভাব হয়ে যায়,ভালো লাগা থেকে ভালবাস হয়ে দুই মন মিলে যায় কেউ বলতে পারবে নাআর সত্যি বলতে কি জান সৌরভ......নিজের অজান্তে কখন যে হৃদরের গভীরে,মনের কুটিরে তুমি স্থান করে নিয়েছ টের-ই- পাই নাইমন মন্দিরে তোমাকে বসিয়ে দিবস রজনী আমি তোমারী পূজা করিতোমাকে নিয়ে নানানরঙ্গের স্বপ্ন দেখিকিন্তু......

আমিঃ কিন্তু কি?

নেহাঃ কিন্তু কি? তা কী এখনো তোমার বুঝার বাকি রয়েছে সৌরভ?তবে নট টু ওয়ারি,জোর জবরদস্তি করে প্রেম ভালবাসা আদায় করা যায় নামনে মনে মন না মিলিলে,ভালবাসা যায় নাইটস অকে

আমিঃ সরি নেহা,আমি জানতাম না তুমি আমাকে এতটা ভালবাসোতুমি আমার খেয়াল মন থেকে মুছে ফেলে নতুন করে......

নেহাঃ ইটস অকে সৌরভ,ডোন্ট ওয়ারী...

আপনারা কি মনে করছেন?নেহা আমাকে ভালবাসে?নেহা প্রেম নিবেধন করছে? নেহার এই রুপটা ও আমার জানা ছিলআমি জানতাম নেহা সহজে হার মানার মতো মেয়ে নাআমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে অপমানবোধ করেছেতার ধারণা ছিল তার মতো সুন্দরী একটা মেয়ের প্রস্তাব কোন ছেলেই প্রত্যাখ্যান করতে পারে নানেহা দেখতে আসলেই খুব সুন্দরী

তবে,সব মানুষের মাঝে কিছু না কিছু গুণ থাকেনেহার মাঝে ও ছিলনেহা সহজে অফেন্ডিড বা উত্তেজিত হয় না,অপ্রিয় কথা বা কটুবাক্য ও সে হেসে হেসে বলে

যাক,পরদিন যা ভেবে ছিলাম তাই হল,নেহা ক্লাসে ঢুকেই লেগে যায় শাহনাজের পিছনেবলতে বলতে নেহা সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে আমার চিন্তা হচ্ছে মিস বারুদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে,কিন্তু শাহনাজ কোন রিয়াক্ট করছে নাকাওছার সহ্য না করতে পেরে নেহাকে বলে ওঠে,তোর মুখে কি কিছুই আটকায় না?তোর এত মাথা ব্যথা হচ্ছে কেন?শাহনাজ সৌরভের গলায় ঝোলুক অথবা খেয়ে ফেলুক তোর জ্বলে কেন?তোর ইচ্ছে হলে তুইও গিয়ে ঝোলতবুও ভাঙ্গা রেডিওটা বন্দ কর প্লিজশেষে অপ্রীতিকর কিছু একটা ঘটে যাবে

নেহাঃ তোর এতো দরদ লাগে কেন? তুই তো ঝুলেই আছিস পান্নার গলায়,ঝোলে থাক

কাওছারঃ তোর কি ইচ্ছা আমি তোর গলায় বানরের মতো ঝুলি? আমি তো তোর মাঝে জ্বলার গন্ধ পাচ্ছি!!!তুই সৌরভের গলায় ঝুলতে পারছিস নাবলে জ্বলন হচ্ছে

নেহাঃ কে আমি!!!হাহাহা...আমার জ্বলন হচ্ছে তাও সৌরভের গলায় ঝো্লার জন্য!!!তুই কি মনে করিস আমার রুচি শাহনাজের মতো?

কাওছারঃ হাহাহাহা...হাসাইলি রে নেহা হাসাইলিকই বেদাগ পূর্ণিমাচাঁদ আর কই পুড়া রুটিকিসের মাঝে কি আর পান্তা ভাতে ঘি!!!

এইসময় লাঞ্চ ব্রেকের ঘণ্টী বেজে ওঠলো...ক্রিং....................................।।

সবাই চলে যায়,আমিও যাচ্ছিলাম,কিন্তু পিছন থেকে মিস বারুদ অর্থাৎ শাহনাজকে তুফানের মতো দৌড়ে আসছে দেখে আমি দাঁড়িয়ে যাইশাহনাজ আমার কাছে আস্তেই আমি ওর হাত ধরে বলি থামোকই যাচ্ছ?

শাহনাজঃ কই যাচ্ছি তাতে তোমার কি? হাত ছাড়ো কাপুরুষ কোথাকার

আমি বললাম যদি হাত না ছাড়ি, কি করবা? শাহনাজ উত্তরে বলে,কি করমু দেখবা.........

এই বলে শাহনাজ আমার হাতে শক্ত করে কামড় দিতেই আমি ওর হাত ছেড়ে দেই আর শাহনাজ দৌড়ে পালিয়ে যায়আমি বুঝে গেছি শাহনাজ নেহার পিছনেই যাবেতাই আমিও ওর পিছে পিছে গেলামস্কুলের গ্যাইট থেকে বের হয়ে দেখি,নেহা আর শিউলি স্কুলের পার্কের দিকে যাচ্ছে,শাহনাজ দৌড়াচ্ছে,আমিও দৌড়াচ্ছিনেহা দৌড়ের আওয়াজ শোনে পিছন দিকে থাকিয়ে শাহনাজকে দেখে দাঁড়িয়ে যায়আমি শাহনাজকে ধরতে গেলে ওর স্কার্ফ আমার হাতে এসে যায়,আর শাহনাজ কোন কথা না বলেই নেহার দুই গালে চড় মেরে বসেদুজনের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়ে গেলশিউলি চীৎকার করে বলছে, মাই গোড... সৌরভ তুমি শাহনাজকে শক্ত করে ধর আমি নেহাকে ধরছিআমি বললাম পারব না,ও কামড় দেয়শিউলি বলছে,দূর মিয়া ফাজলামি কইরো না,যে করেই পার তাড়াতাড়ি ও কে এখান থেকে সরিয়ে নেওতারপর আমি শাহনাজকে বাহুতে করে কিছু ধুর সরিয়ে নিয়ে যাই কিন্তু...মাগো মা বিড়ালনীর আঁচড়কামড়ের জ্বালায় গা পুড়ে যাচ্ছিলএতো ঝাল!!!একদম তেজি গোলমরিচের মতোউফফফফফফফফফফফ

No comments:

Post a Comment