Friday, March 5, 2010

Purano Charta Lekha

১. এ্যাসিডিটি হয়

আমার খুব এ্যাসিডিটি হয় এইভাবে, যখন আমি আর ফুল ভালোবাসিনা । আমার ড্রয়ারের ভেতর প্রগাঢ় আলস্য নিয়ে একটা নদী শুয়ে থাকে।
আমার রুমালের কোণে জ্বলজ্বলে কোন বৃষ্টিবিধুর ফুল ফুটে থাকবার মতো
বিরহে ভিজে ভিজে আমি আর বাড়ি ফিরবোনা এইরাতে। কোন ধূসর
বর্ষাতির গহিনে ঢুকে যাবো। আর আমার ড্রয়ারের ভেতরে খুব এ্যাসিডিটি
হতে থাকবে এইরাতে, যখন সেখানে বিরহকাতর আর কোন নদী জাগবেনা,
নদী জাগবেনা।

২. তার প্রসঙ্গে

প্রতিবার বৃষ্টি দেখার আগে সঠিকমাত্রায় নিজ চোখকে বিশ্রাম দিন।
অতিমাত্রায় রোদভুক পাখির ডানা থেকে খসে পড়া পালক আপনাকে
অন্য ধারনা দেবে । তবু বৃষ্টি দেখার আগে পর্যাপ্ত আপনার চোখকে
বিশ্রাম দিন। আপনি জানালায় যাবেন না সচেতনভাবে যেন, এইমাত্র
ত্রিতাল ছন্দে বৃষ্টি বাজিয়ে চলে গেলো যে, তাকে একবার চূর্নপলক
দেখার আগে বিভ্রান্ত হবেন না, শুধু তাকে ভাববার আগে সঠিকমাত্রায়
নিজ মনকে বিশ্রাম দিন।

৩. গোলাপবাগানে

মুখাবয়ব যার প্রস্ফুটিত বিষাদের মতো, তার মুখ কী মোহন
উঠছে ফুটে কুণ্ডলায়িত ধোঁয়ার ভেতর, অলস পাক খেয়ে ক্রমে
দেহ নিচ্ছে সংবেদন অথবা সাপ! প্রকৃত খোলসের গান
এখানে ধীরজ, উঠে আসছে দেখো এইবেলা আমার বিষন্ন গোলাপ ।
এপ্রিলের সংবেদ খুলে ফেলছে ক্রমেই পাপড়ির দেহ থেকে
বিচ্যূত রাত; কিম্বা তার চে’ কিছু এক আশ্চর্য দেহতাপ !
আমার সংবেদন পড়ে আছে দূরবর্তী গোলাপবাগানে, নিস্ক্রিয় ।
আঁধারের ক্ষমতা মাপছে উরুপথের শিশ্নসাপ ।

৪. ওফেলিয়ার চুল

ওইখানে রোদের উপনিবেশ ভেঙে গেলে দূরে, গাছের বাকলে
ফুটে ওঠে হিজল সংকেত। প্রাঞ্জল বেলুন হারিয়ে ওফেলিয়ার সব চুল
নদী হলে পরে, দেখে নিও তুমি অস্পষ্ট রোদের প্রকার । তেমনি কিছু
দুঃখ লিখে রাখি আমি সূর্যের গায়ে, হৃৎপিন্ডে; বিষন্ন, বেলুনাকার!
ওইখানে রোদের উপনিবেশ ভেঙে গেলে দূরে, ওফেলিয়ার সব চুল
নদী হবে ধীরে, রূপ যার বিনীত সাপের স্বভাব ।

lekhagulo onek aager, somproti edit kora hoechhe. fole onek tai
bodle gechhe...tai share kora aarki. sobai bhalo thakun.

No comments:

Post a Comment